প্লুটো আবিষ্কার হলো কিভাবে জেনে নিন!
প্লুটো (১৯৩০)
-পার্সিভাল লাওয়েল ও টম বাউ
নেপচুন আবিষ্কারের পরও বিজ্ঞানীদের মনে হতে লাগল নেপচুনের পরও গ্রহ থাকতে পারে। ১৯০৫ সালে উত্তর আমেরিকার প্রসিদ্ধ জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ফ্ল্যাগস্টাফ মানমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা পার্সিভাল লাওয়েল গণনা করে দেখলেন আবিষ্কৃত সব গ্রহগুলির আকর্ষণ হিসাব করলেও ইউরেনাসের গতির গরমিল থেকে যাচ্ছে। নেপচুনের পরও কোনো গ্রহ থাকলে তবেই এটা হওয়া সম্ভব। নয় বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করে ১৯১৪ সালে তাঁর গবেষণার বিবরণ প্রকাশ করলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ১৯১৬ সালে আকস্মিকভাবেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সহকর্মীরা অজানা গ্রহটির অনুসন্ধান কাজ শুরু করলেন। পার্সিভালের প্রতিষ্ঠিত মানমন্দিরের নাম দেওয়া হল লাওয়েল মানমন্দির। এই মানমন্দিরে কোনো শক্তিশালী দূরবীণ ছিল না। তাই অনুসন্ধান কাজ চালানোর জন্য ১৩ বছর পর ১৯২৯ সালে এক শক্তিশালী নতুন দূরবীণ বসানো হল, তরুণ গবেষক টম বাউ আকাশের সম্ভাব্য স্থানগুলি ঐ দূরবীণ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে ১৯৩০ সালের ১৩ মার্চ আবিষ্কার করলেন নতুন গ্রহটিকে। | সূর্য থেকে বহুদূরে মহাকাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলে প্লটোর অবস্থান, তাই গ্রীক পুরাণে বর্ণিত অন্ধকার পাতাল পুরীর দেবতা প্লুটোর নাম অনুসারে এই নতুন গ্রহের নাম দেওয়া হল প্লুটো। এই নামকরণ অন্যদিক দিয়েও সার্থক। প্লটো নামের প্রথম দুই অক্ষর পি এবং এল। পার্সিভাল লাওয়েল এর নামের আদ্যক্ষর পি এবং এল।।
সূর্য থেকে প্লটোর দূরত্ব ৩৬৭ কোটি মাইল, ২৪৮ বছরে প্লুটো সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। প্লুটোর ব্যাস ৪০০০ মাইল।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions