Home » » জমি রেকর্ডের পদ্ধতি কিভাবে নেয়া হয়েছে?

জমি রেকর্ডের পদ্ধতি কিভাবে নেয়া হয়েছে?

জমি রেকর্ডের পদ্ধতি কিভাবে নেয়া হয়েছে?

জমি রেকর্ডের পদ্ধতি যেভাবে নেয়া হয়েছে -

সরকারী অফিসে দেশের, গ্রামের নির্দিষ্ট এলাকার মোট জমির পরিমাণ ও ম্যাপ (মানচিত্র) পাওয়া যাবে। দেশে মোট জমির পরিমাণ মোটামুটি ভাবে নির্দিষ্ট বলা যায় । সার্চিং করলে জমির মালিকানা অতীতে কার ছিল তা জানা যায় অর্থাৎ জমির হাতবদল হওয়ার চিত্রটি জানা যায় । 

ভূমি ও জমি সংস্কার আইনে রেকর্ড অফ রাইটসের তৈরীর পদ্ধতির কথা বলা আছে। এই পদ্ধতি হল : (১) ট্রাভার্স সার্ভে (২) ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (৩) খানাপুরী (৪) বুঝারত (৫) তসদিক (৬) খসড়া আয়. ও. আর প্রস্তুতি (৭) অভিযোগ সংক্রান্ত নিষ্পত্তি (৮) ফাইনাল রেকর্ড প্রভৃতি ও তার প্রকাশনা। 

সাধারণ লোকের জন্য ট্রাভার্স সার্ভে ও ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে প্রয়োজন না হলে ও সরকারী ক্ষেত্রে এই দু'রকম সার্ভেরই প্রয়োজন হয় । এছাড়া যে কোন ভাবেই যে কোন ব্যক্তি জমির মালিক হোন না কেন এবং  সেই জমিতে যদি সেই ব্যক্তির দখল থাকে তবে সবচেয়ে ভাল হবে যদি নিজ মালিকানার জমিটি নিয়ম অনুযায়ী তা রেকর্ড করিয়ে নেওয়া। 

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় ভূমি রেকর্ড অফিস রয়েছে। এই অফিসে খোজ খবর করলে জমির দাগ নম্বর (প্লট নম্বর) খতিয়ান, জমির পরিমাণ (শতক/একর হিসেবে সব কিছুই গোচরীভূত হবে। এলাকার জমির নকশাও রয়েছে। একটি মৌজার একের বেশিও খতিয়ান পাওয়া যেতে  পারে।

সরকারী রেকর্ড অফ রাইটসে জমির পরিমাণ যা দেখানো আছে তা খতিয়ানের হোক কিংবা দাগ নম্বরেই হোক-সেই জমির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য নির্বাচিত সময় অনুযায়ী জরিপ করানো প্রয়োজন যাতে জমি ক্রয় করার পর জমির পরিমাণ ও সীমা রেখা নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে বিবাদ বিসংবাদ না হয়। জমির দাগ তিন কোন বা চার কোনের হতে পারে। 

এই রেকর্ড অফ রাইটসকে সরকারী দলিল হিসাবে গণ্য করতে হবে। রেকর্ড অব রাইট্রক্স এর সার্টিফায়েড কপিকে পরচা বলে। এই পরচাকেই বাংলায় বলা যেতে পারে স্বত্ব লিপি।  মূল দলিল বিনষ্ট হলেও এর সার্টিফায়েড কপি যথা স্থানে দাখিলা করা যেতে পারে। এই সার্টিফায়েড কপি আদালতের কাছেও গ্রহণযোগ্য।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *