Home » » মরুদ্যান কাকে বলে

মরুদ্যান কাকে বলে

Oasis / মরূদ্যান 

মরুদ্যান কাকে বলে

সাধারণত মরুভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত স্বল্প পরিসরে বিস্তৃত উর্বর এলাকা। কোনো নৈসর্গিক কারণে হ্রদ বা জলা জায়গা সুষ্ট হলে সেখানে ঘাস ও অন্যান্য গাছপালা জন্মে এবং শ্যামল অঞ্চলের সৃষ্টি করে। মরূদ্যান শব্দটি প্রথমে আফ্রিকা ও এশিয়ার যেসব ক্ষুদ্র এলাকায় বৃক্ষ ও চাষাবাদকৃত শস্য জন্মায় সেসব এলাকার জন্য প্রয়োগ করা হয়েছিল। এসব এলাকায় ঝরনা এবং সন্নিকটবতী পানির উৎস থেকে পার্শ্বপ্রবাহ দ্বারা পানি সরবরাহ হতো। বর্তমানে এ শব্দটিতে সবিরাম প্রস্রবণ বা কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা দ্বারা যেসব এলাকা পানি পায় সেসব এলাকাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ অর্থে নীল নদ ও কলোরোডো নদীর প্লাবনভূমিকেও বিশাল মরূদ্যান হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে বা সেচকৃত মরু এলাকাও বলা যায়।

মরুভূমি অতিক্রমকারী মানুষ এবং মরুবাসী প্রাণীদের কাছে মরূদ্যান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মরুপৃষ্ঠের কোনো কোনো স্থানে আর্তেজীয় স্তর প্রকাশিত হলে সেখানে মরূদ্যান সৃষ্টি হতে পারে। আবার অধিবৃত্তাকৃতি বালিয়াড়ির প্রতিবাত প্রান্তে অতি সূক্ষ্ম বালিকণার সমাবেশের ফলে ভূমিপৃষ্ঠের প্রবেশ্যতা কমে যায়। তখন সামান্য বৃষ্টিপাতেও বৃষ্টির পানি থেকে জলা অঞ্চল তৈরি হয়। এ মরূদ্যানকে কেন্দ্র করে লোকালয় গড়ে উঠেছে। ভারতের রাজস্থানের মরু অঞ্চলে উদয়পুর, জয়পুর, আজমির ইত্যাদি শহর আর্তেজীয় স্তর প্রকাশিত হয়ে উৎপন্ন মরূদ্যানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

নিষ্ফলা এলাকা বা পরিত্যক্ত জমিতে সীমিত সংখ্যক স্থানীয় গাছপালার মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের ফ্রিটোফাইট (phreatophytes) অন্তর্ভুক্ত। এ প্রকার গাছে লবণাক্ত জমিতে জন্মে এমন চিরহরিৎ ঝাউগাছ (Tamarix sp.), cattail (Typha latifolia), (OTSTETT এবং শর (rushes) অন্তর্ভুক্ত। যেসব এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল সেসব এলাকায় অনেক লাবণিক উদ্ভিদ (halophytes) এবং এ প্রান্তিক এলাকার বাইরে মরুভূমির গাছপালা জন্মে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *