আর এস জরিপ কাকে বলে?
আর এস জরিপ কি?
রিভিশনাল সেটেলমেন্ট (Rivisional Settlement) কে সংক্ষিপ্ত ভাবে আর, এস, জরিপ বলা হয় । B, T Act. ১৮৮৫ এবং Survey Act ১৯৭৫ সালের বিধান অনুযায়ী ১৮৮৯ হতে ১৯৪০ মধ্যবর্তী সময়ে সি, এস বা ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ পরিচালিত হয় । সি. এস. জরিপ সমাপ্তির পর কিছু কিছু জেলায় এই জরিপ সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী আর. এস বা Rivisional Settlement পরিচালিত হয় । এটাই আর, এস জরিপ। আর, এস জরিপের আবশ্যক কি? ভূমির বা জমির নকশা ও রেকর্ড যদি যথাযথ না থাকে তাহলে একজন ভূমির মালিক ও সরকারী কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই আর, এস বা সংশোধনী জরিপের আবশ্যক অপরিসীম। নিচে Uptodateজরিপের আবশ্যকতার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলোবিভিন্ন মোর সরকারী খাস জমি চিহ্নিত করণ ও তার পরিমাণ নির্ণয়। ভূমিহীনদের মধ্যে সরকারী খাসজমি বন্টনের লক্ষ্যে খাসজমি চিহ্নিত করণের জন্য আর, এস বা সংশোধিত জরিপ প্রয়োজন। ভূমি সংস্কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বর্গাদার চিহ্নিত করার জন্য সংশোধিত জরিপ প্রয়েজন। পরিবারের জন্য জমির উর্ধ্বসীমা আইন কার্যকর করার জন্য সংশোধিত জরিপ আশ্যক। ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায় করার জন্য আর, এস জরিপ প্রয়োজন। ভূমি উন্নয়ন প্রশাসনের সহযোগীতার জন্য এই জরিপ প্রয়োজন। ফ্যামিলি ব পরিবার ভিত্তিক ভূমির মালিকানা নির্ণয় করার জন্য আর, এস জরিপ Update রাখা প্রয়োজন।
ভূমি জরিপ চলাকালে ভূমি মালিকদের করণীয় কি?
ভূমি মালিকের জন্য ভূমি বা জমি জরিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কোন ভূমি মালিক যদি ভূমি জরিপ কর্মকাণ্ডকে অবহেলা করেন তাহলে তাকে চরমমূল্য দিতে হতে পারে। জমি জরিপের সময় জমির মালিকানার ভিত্তি জমি রেকর্ড অর্থাৎ খতিয়ান তথা স্বত্বলিপি তৈরী করা হয়। এই রেকর্ডে জমির খাজনা প্রদান, কোন সংস্থা থেকে ঋণ গ্রহণ, জমি বিক্রয় ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই খতিয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । সারণত কোন এলাকা বা জমি জরিপ শুরু হওয়ার আগে ভূমি প্রশাসন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণকে অবহিত করেন। তারপর পূর্ব ঘোষিত নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী প্রসাশনের কর্মচারিরা। কিস্তোয়ারা অথবা খানাপুরী অথবা খানাপুরী কাম বুঝরতে কাজ শুরু করেন । কিস্তায়ারের মাধ্যমে নকশা তৈরীর পূর্বেই ভূমি মালিকগণ তাদের জমির নিজৰ সীমানা নির্ধারণ করে রাখবেন। এতে জমি জরিপের সময় নিজে অথব আপনার বিশ্বস্ত প্রতিনিধি জরিপ কর্মচারী তথা আমিনদের আপনার জমির নির্দিষ্ট সীমানা দেখিয়ে নকশা প্রস্তুততে সহায়তা করবেন । যখন খানারি অথবা খানাপুরি কাম বুঝরতে কাজ আমিন শুরু করবেন। তখন ভূমি মালিকগণ ভূমি মালিকানা সংশ্লিষ্ট, সকল কাগজপত্র অর্থাৎ আগের রের্ডর পর্চা বা দলিল দস্তাবেজ নিয়ে মালিক বা তার অভিজ্ঞ প্রতিনিধি মাঠে হাজির থেকে জরিপকারীর নিকট উপস্থাপন করে যথাযথভাবে নাম রেকর্ড করে নিবেন। এ ক্ষেত্রে সাবেক রেকর্ডের মালিকের যদি মৃত্যু হয় তাহলে তার উত্তরাধিকারগণ তাদের নাম ও ঠিকানা বর্ণনা করে নতুন করে নাম রেকর্ডভূক্ত করতে আমিনকে সাহায্য করবেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions