জমির রেকর্ড এর খসড়া প্রকাশের পর করণীয় কি?
জমির রেকর্ডের খসড়া প্রকাশের পর করণীয়:
২৯ বিধি অনুযায়ী তসদিক শেষ হওয়ার পর ভূমি রেকর্ডের খসড়া প্রকাশিত হয় যা ভূমি মালিক বা তার প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবস খোলা রাখা হয় । এই খসড়া রেকর্ডে যদি কোন ভুল বা ক্রটি লক্ষ্য করেন তাহলে ৩০ ধারায় আপত্তি কেস দাখিল করতে হবে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, জমি জরিপের সময় কিছু অসাধু ব্যক্তি আবির্ভূত হয়, দালাল নামে চিহ্নিত এই ব্যক্তিগণ আপনার ভূমির জরিপ কর্মকাণ্ড সহজভাবে করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনাকে প্রতারিত করতে পারে এক্ষেত্রে ঐসব অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিদের এড়িয়ে নিজে অথবা আপনার বিশ্বস্ত প্রতিনিধিকে দিয়ে জরিপের কর্মকাণ্ড সমাধান করাই ভাল। ৩০ ধারা আপত্তি কেস দাখিলের পর কেস শুনানীর সময় আপনার আপত্তির স্বপক্ষে দলিল দস্তাবেজ এবং সাক্ষীদের উপস্থিত করতে হবে। এই আপত্তি কেসের রায় যার বিপক্ষে যাবে তিনি প্রয়োজন মনে করলে ৩০ দিনের মধ্যে আইন অনুযায়ী আপীল দায়ের করতে পারেন। এক্ষেত্রেও আপীল দায়েরকারীকে তার দাবির স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্বাক্ষী কোর্টে হাজির করতে হবে।
ভূমি মালিকদের মুদ্রিত রেকর্ড চূড়ান্ত (Final) প্রকাশনার সময় পুনরায় ত পর্যবেক্ষনের সুযোগ দেয়া হয়। সরকারী নির্ধারিত মূল্যে দিয়ে ভূমি মালিকগণ ইচ্ছা করলে মুদ্রিত খতিয়ানের কপি ও নক্সা ক্রয় করতে পারেন। মুদ্রিত রেকর্ড পর্যবেক্ষণের সময় যদি আপনি কোনরূপ গাণিতিক, করণিক, মুদ্রনজনিত ভুল অথবা কোনরূপ জালিয়াতি লক্ষ্য করেন তাহলে সেটেলমেন্ট অফিসে ৫৩৩/৫৩৪ ধারায় তা সংশোধনের জন্য দরখাস্ত পেশ করবেন। আপনার দরখাস্ত পাওয়ার পর সেটেলমেন্ট অফিসার তদন্ত চ করবেন এবং কোনরূপ ভুলের প্রমাণ পেলে তিনি গেজেট বিজ্ঞপ্তির জারীর পূর্বে বিধি মোতাবেক সংশোধন করবেন। এছাড়া রেকর্ড সংক্রান্ত। কোনরূপ সমস্যা দেখা দিলে বিষয়টি সাথে সাথে সেটেলমেন্ট অফিসার, সহকারী কমিশনার, ভূমি চার্জ অফিসার অথবা সেটেলমেন্ট অফিসারের দৃষ্টিগোচরে আনবেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions