রান্নার সময় পেঁয়াজ ও রসুনের গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করবেন কিভাবে?
খাবারকে আমরা হয়তো রসুনগন্ধী করতে চাই—কিন্তু কতখানি? অনেক সময় অতিরিক্ত রসুনগন্ধী হলে ভাল লাগে না। আবার কখনো অনেক রসুন দিয়েও রসুনের স্বাদ-গন্ধ পাই না। এটি নিয়ন্ত্রণের উপায় কি?
রসুনের রয়েছে এলিনিন নামের দ্রব্য আর এলিনেজ নামের একটি এনজাইম। এই দুটি একত্র হলেই রসুন-গন্ধের সৃষ্টি হয়। কোয়ার ভেতরে রসুন অন্য সব উদ্ভিদের মত অসংখ্য জীবকোষে বিভক্ত থাকে। এদের কোষ দেয়াল অক্ষত থাকলে ঐ রাসায়নিক মিশ্রণ ঘটে না, রসুন গন্ধেরও সৃষ্টি হয় না। রান্নার সময় খাবারে মেশাবার আগে-রসুনের কোয়াকে যত কাটা হবে, বা হেঁচা হবে কি পেষা হবে তত অধিক সংখ্যায় তার কোষ দেয়াল ভাঙ্গবে, আর গন্ধ বেরোবে তত বেশি। এখন আপনিই ঠিক করুন খাবারকে কতখানি রসুন-গন্ধী করতে চান। যত বেশি চান তত বেশি করে রসুনকে কাটুন বা পিষুন। খাবারে দিয়ে ফেলার পর যদি মনে করেন ওটা একটু বেশি হয়ে গেছে, তারও উপায় আছে। রান্নাটা একটু বেশি করে করুন, রান্না এনজাইমের বিক্রিয়াটি কমিয়ে ফেলে।
পেঁয়াজও রসুনের মত একই দলের উদ্ভিদ। কাটা বা পেষার উপর এর এ ঝাজ খুব নির্ভর করে। তা ছাড়া এর ক্ষেত্রে বিক্রিয়াটি চোখে জ্বালা ধরায়, অশ্রু ঝরায়। তাই পেঁয়াজের কাটা বা পেষা যত বেশি করবেন চোখের অসুবিধা তত বেশি হবে। কাজগুলো কল থেকে ঝরছে এমন পানিতে ধরে করতে পারলে আপনার কান্না কম হবে। এতে বিক্রিয়ার অণুগুলো ধুয়ে যাবে, বাতাসে ছড়িয়ে আপনার চোখে আসতে পারবে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions