Home » » হযরত আলী রাঃ এর চরিত্র

হযরত আলী রাঃ এর চরিত্র

হযরত আলী রাঃ এর চরিত্র

হযরত আলী (রা.) খুলাফায়ে রাশিদীনের চতুর্থ খলীফা ছিলেন। বিপুল তারুণ্য নিয়ে তাঁর ইসলামে আগমন আর সারাজীবনব্যাপী ইসলামের জন্য অপরিসীম ত্যাগ-তিতীক্ষা, বীরত্ব, সাহসিকতা ও আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন। 

আলী (রা.) রক্তিম বর্ণ বিশিষ্ট, নাতিদীর্ঘ, অতীব শক্তিশালী, দীর্ঘ শ্মশ্রু ও কোমল কপোতাভ চক্ষুবিশিষ্ট অমায়িক এবং দয়ার দৃষ্টিসম্পন্ন বলে বর্ণিত হয়েছেন। সরল ও একনিষ্ঠ মুসলিম হযরত আলী (রা.) ছিলেন সরলতা ও আত্মত্যাগের মূর্তপ্রতীক। মুসলিম জগতের খলীফা হয়েও স্বহস্তে কাজ করতে তিনি গর্ববোধ করতেন। তিনি জীর্ণকুটিরে বাস করতেন এবং মোটা কাপড় পরিধান করতেন। দ্বিতীয় খলীফা উমর (রা.) এর আমলে প্রবর্তিত অধিকাংশ জনহিতকর কার্য তার পরামর্শেই সম্পাদিত হয়েছিল। তিনি শান্ত ও পরোপকারী ছিলেন। ইসলামের সেবায় তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন। হযরত আলী (রা.) প্রত্যহ পাঁচবার মসজিদে সালাত পড়তে যেতেন এবং মুসলিম ও অমুসলিমগণের অভিযোগ শ্রবণ করতেন। তরুণদের মধ্যে সর্বপ্রথম তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। 

বিশ্বস্ততা ও সততা 

তিনি ছিলেন জাতির বিশ্বস্ত নেতা। তিনি সততা ও নিষ্ঠা সহকারে বায়তুল মালের সংরক্ষণ করতেন। নিজের ন্যায্য পাওনার অতিরিক্ত কোন অর্থ বা খাদ্য বায়তুল মাল থেকে নেয়া হারাম বলে মনে করতেন।

জ্ঞানী

হযরত আলী (রা.) শৈশবকাল থেকেই মহানবী (সা.) এর তত্ত্বাবধান সংসর্গ লাভের সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে তিনি যাবতীয় প্রশিক্ষণ লাভ করেন। যৌবনে হযরত (সা.) এর জামাতা হবার গৌরব অর্জন করেন। তাঁর মধ্যে জ্ঞান আহরণ এবং বহুমুখী জ্ঞানের পূর্ণতা লাভের সহজাত যোগ্যতা ও আগ্রহ ছিল। এ কারণে নবীর প্রত্যক্ষ প্রেরণা লাভ করেছিলেন। কুরআন মাজীদ, তাফসীর, হাদিস, ফিকাহ, অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়াদির জ্ঞানে তিনি ছিলেন দক্ষ। তাঁর জ্ঞান ও ঐশ্বর্যের ব্যাপারে সকলেই একমত ছিল। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বাণী “আমি জ্ঞানের নগরী, আর আলী তার ফটক” এরই প্রমাণ দেয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *