ব্রিটিশ শাসনামলে প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম
ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে (১৭৫৭-১৮৫৭ খ্রি.) মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদী আন্দোলন বা বিদ্রোহ সংঘটিত হতো। কিন্তু এতে সামগ্রিকভাবে বৃটিশ সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব বিপন্ন হবার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি। কিন্তু ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লব এত ব্যাপক আকারে ঘটে যে তা বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে তোলে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানির দুঃশাসন ও নির্যাতনের শিকার দেশীয় সিপাহীরা এ বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে তা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক বছর কাল স্থায়ী এই গণবিদ্রোহে সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগণ অংশ নেয়। ও সহযোগিতা প্রদান করে। বিদেশি শাসন শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিদ্রোহের মূলে কাজ করেছিল। বিপ্লবী জনতা বৃটিশ শাসনকে অগ্রাহ্য করে শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতবর্ষের প্রকৃত শাসক বলে ঘোষণা দেয়। তা ছাড়া নানা সাহেব, তাঁতিয়া টোপী, ঝাঁসীর রাণী, কুনওয়ার সিং, মৌলভী আহমদ উল্লাহ প্রমুখ নেতা গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে বিপ্লব সফল না হলেও পরিণতিতে ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের শাসন ক্ষমতা বৃটিশ রাজের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions