জাহানারা ইমাম
জাহানারা ইমাম ১৯২৩ সালের ৩ মে মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ও রক্ষণশীল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ আব্দুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা সৈয়দা হামিদা বেগম।
জাহানারা ইমামের পারিবারিক নাম জুডু। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তিনি রংপুর থেকে ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক ও ১৯৪৪ আইএ এবং ১৯৪৭ সালে কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৬০ সালে বিএড ডিগ্রি, ১৯৬৪ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি এবং ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবনে তিনি ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গালর্স স্কুল ও বুলবুল একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রুমী শহিদ হন। রুমী ও তাঁর সহযোদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশনে জাহানারা ইমাম সহযোগিতা করেন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা জাহানারা ইমামকে সকল মুক্তিযোদ্ধার মা হিসেবে বরণ করে নেন। তিনি হন শহিদ জননী।
তিনি স্মৃতিচারণমূলক ‘একাত্তরের দিনগুলি লিখে পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন।
১৯৯৪ সালের ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ডেট্রয়েট হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা :
শিশুসাহিত্য : গজকচ্ছপ, সাতটি তারার ঝিকিমিকি, বিদায় দে মা ঘুরে আসি;
অনুবাদ : জাগ্রত ধরিত্রী, তেপান্তরের ছোট্ট শহর, নদীর তীরে ফুলের মালা;
স্মৃতিকথা : একাত্তরের দিনগুলি, ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস, প্রবাসের দিনগুলি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions