Home » » কার্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি

কার্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি

কার্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি

কার্য বিশ্লেষণের কৌশল/পদ্ধতি (Techniques of job Analysis)

কার্য বিশ্লেষণ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কার্য বিশ্লেণের মাধ্যমে কর্ম উপযোগী কর্মী এবং কর্মী উপযোগী কর্ম এদুয়ের মধ্যে সমন্বয় করা যায়। কার্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থার বা কর্মসূচির সফলতা নির্ভর করে তথ্যের সঠিকতার উপর। সঠিক ও উন্নত ফলাফল অর্জনে কার্য বিশ্লেষণের জন্য কতিপয় কৌশল বা পদ্ধতি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়। নিমে এসকল কৌশলসমূহ বর্ণনা করা হলো:


প্রশ্নমালা পদ্ধতি (Questionnaire Method or Techniques): 

কার্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি বা কৌশলের মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত ও উত্তম কৌশল হল প্রশ্নমালা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি সাধারণত সহজ ও অধিক কার্যকর পদ্ধতি বিশেষ। প্রশ্নমালা পদ্ধতিতে কর্মীদের নিকট থেকে কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য একটি প্রশ্নমালা তৈরি করে কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সাধারণত দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী অথবা তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা প্রশ্নপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পর্কে তথ্যাবলি সংগ্রহ করা হয়। প্রশ্নপত্র সহজ, সংক্ষিপ্ত, সম্পূর্ণ ও সঠিক উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হয়।

প্রশ্নপত্রে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত সেগুলো হল: 

> পদের শিরোনাম 

> কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কে বর্ণনা 

> কার্যের সময় কাল যেমন, সপ্তাহ, মাস ইত্যাদি। 

> কর্মীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা 

> অন্যান্য পদের সাথে সম্পর্ক 

> কাজের বৈশিষ্ট্য বা বিশেষত্ব ইত্যাদি। 

আসল কথা হল প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও উত্তরদাতা যেন অতি সহজে প্রশ্ন বুঝতে পারে ও উত্তর দিতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর রেখে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা আবশ্যক।


সাক্ষাতকার পদ্ধতি (Interview Method or Technique): 

কর্ম বিশ্লেষণের এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে কর্মীগণ সরাসরি ব্যবস্থাপনার সাথে আলোচনা করার সুযোগ পায়। সাক্ষাতকার গ্রহণকালে কর্মকর্তাগণ কর্মীকে চাকুরি ও কার্য সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং তাদের উত্তর লিপিবদ্ধ করেন। তাছাড়া প্রশ্নকারী কর্মীর আচার ব্যবহারও লক্ষ্য করেন। সাক্ষাৎ কর্মসূচি ব্যক্তিগত বা দলগত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ পদ্ধতি বেশ সময় সাপেক্ষ। তাছাড়া এ পদ্ধতির কৃতকার্য সাক্ষাতকার গ্রহীতার দক্ষতার উপর নির্ভরশীল বলে সাক্ষাৎ গ্রহীতার অন্যান্য দক্ষতার সাথে মানবীয় বিষয় সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান থাকা আবশ্যক।


পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি (Observation Method): 

কার্য বিশ্লেষণের এ পদ্ধতি দৈহিক কাজের ক্ষেত্রে অধিক কার্যকর ও ফলপ্রসূ। এ পদ্ধতিতে কার্য বিশ্লেষক কাজ চলাকালীন অবস্থায় কর্মীর কর্ম সম্পাদন প্রক্রিয়া ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ফলাফল ও কাজের অগ্রগতি কার্যশীটে লিপিবদ্ধ করেন। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কাজের পরিবেশ কর্মীর দৈহিক যোগ্যতা ও দক্ষতা ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সম্পদে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তত্ত্বাবধায়ক বিশেজ্ঞ সরাসরি কর্মীর কার্য পর্যবেক্ষণ করেন বলে এর মাধ্যমে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা যায়।


সম্মিলিত পদ্ধতি (Joint Method):

কার্যকর ও সন্তোষজনক ফলাফল লাভের জন্য প্রশ্নপত্র পদ্ধতি সাক্ষাতকার পদ্ধতি এবং পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত সমন্বিত কর্মসূচিকে সম্মিলিত বা যুগ্ম পদ্ধতি বলে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে অতি সহজে নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে যে বিষয় তাৎক্ষণিক জানা যায় না, সাক্ষাতকার পদ্ধতিতে তা জানা যায় এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্য ফলাফলের সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হয়। 


পরীক্ষা তালিকা পদ্ধতি (Examination List Method): 

যে পদ্ধতির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে কার্যাবলির তালিকা প্রস্তুত করে কাজের বিভিন্ন দিক সমূহে কর্মীদের টিক চিহ্ন দিতে বলা হয় তাকে পরীক্ষা তালিকা বা কার্য তালিকায় টিক চিহ্ন পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতিতে কার্য তালিকা প্রস্তুত করে কর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হয় অত:পর কর্মীগণ প্রত্যেকের নিজস্ব কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়গুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে তা তত্ত্বাবধায়কের নিকট ফেরত দেয়। কার্য সম্পদে তথ্য সংগ্রহ ও বিন্যাসের জন্য এটি একটি সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতির সফলতার জন্য তালিকা প্রস্তুত কারীকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হয়। 


রোজ নামচা পদ্ধতি (Daily Routine Work Method): 

যে পদ্ধতির মাধ্যমে কর্মীর দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের হিসাব নিকাশ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তাকে রোজনামচা পদ্ধতি বলে। এ তালিকায় কর্মীর কাজের বিবরণ যেমন-কর্ম প্রক্রিয়া, কার্য পরিবেশ, সময় জ্ঞান ইত্যাদি তথ্যাবলি লিখতে বলা হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে কর্মীদের কার্য সম্পাদন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ সহজ হয়। 


সম্মেলন পদ্ধতি (Conference Method): 

যে পদ্ধতি বা কৌশলের মাধ্যমে কার্য বিশ্লেষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়  বিশেষজ্ঞের সম্মিলিত মতামতে বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল ধারণা গ্রহণ করা হয় তাকে বিশেষজ্ঞ সম্মেলন পদ্ধতি বলে।  শিল্প বিশেষজ্ঞ বা প্রকৌশলী,পরিদর্শক, তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণ কার্য বিশ্লেষকের নিকট কাজের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মতামত প্রদান করে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *