ঘুষ কি
স্বাভাবিক প্রাপ্যের পরও অসদুপায়ে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে ঘুষ বা উৎকোচ বলে। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী অর্পিত কাজের জন্য নিয়মিত বেতন ভাতা পায়। কিন্তু সে কাজের জন্য বাড়তি কিছু গ্রহণ করাকে উৎকোচ বা ঘুষ বলে। ঘুষদাতা কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা স্বার্থ হাসিলের জন্য ঘুষ দিয়ে থাকে। তাছাড়া টাকা-পয়সা ছাড়াও উপহারের নামে নানা সামগ্রী প্রদান করা হয় । যে নামেই দেয়া হোক না কেন এসবই ঘুষ-এর অন্তর্ভুক্ত।
ঘুষ বা উৎকোচের একটি জঘন্য সামাজিক অপরাধ। ঘুষের প্রতিক্রিয়া ও বিষক্রিয়া সমাজকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলে এবং সমাজকে কলুষিত ও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। ঘুষ আদান-প্রদানের মাধ্যমে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে, অবৈধ উপায়ে আত্মসাৎ করা হয়। ঘুষের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে কাউকে সহায়তা অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাতের শামিল। ঘুষ যেহেতু জঘন্য অপরাধ এত দাতা গ্রহীতা সমানভাবে অপরাধী। তাই এদের জীবন অভিশপ্ত । হাদিসে আছে,
لَعَنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ وَالرَّائِشَ
“রাসূলু (স.) ঘুষ গ্রহণকারী এবং ঘুষদাতা এবং উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারীদেরকে অভিশম্পাত করেন।” (আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, আহমদ ও হাকিম, মুসান্নেফে আবি শাইবা)
ঘুষ দেয়া ও গ্রহণের মাধ্যমে একজনের হক অন্যায়ভাবে অন্যজনকে প্রদান করা হয়। এ ধরনের কাজ জঘন্য পাপ, অমার্জনীয় অপরাধ। ঘুষের কারণে সমাজে নানা রকম আর্থিক ও সামাজিক দুর্নীতির বিস্তার ঘটে। ঘুষ বা উৎকোচের কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বরাদ্দ অর্থের সিংহ ভাগই ঘুষ বাবদ চলে যায়। ফলে উন্নয়ন কাজের পরিমাণ ও গুণগতমান হ্রাস পায়। ঘুষ ছাড়া কোনো ‘ফাইল' এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে যায় না। ফলে প্রশাসনিক কাজে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ জন্য ঘুষ নিষিদ্ধ ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions