সুশাসন কি
বর্তমান বিশ্বের একটি সর্বাধিক আলোচিত বিষয় সুশাসন, যার মাধ্যমে জানা যায় জনগণ কীভাবে শাসিত হবে এবং তাদের সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্র ও সরকারের এবং সরকার ও জনগণের সম্পর্ক কেমন হবে সুশাসন প্রত্যয়টি তাও ব্যাখ্যা করে শাসন এর পূর্বে সু প্রত্যয় সংযোগে সুশাসন শব্দটি গঠিত হয়েছে। এর অর্থ হলো নির্ভুল, দক্ষ ও ফলপ্রসূভাবে শাসন করা। আইনের শাসন হচ্ছে সুশাসনের অন্যতম উপাদান। সাধারণভাবে বলা যায়, যে শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, অবাধ তথ্য প্রবাহ, জনগণকে উন্নত সেবাদান, কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা ও সাম্য বিরাজ করে তাই সুশাসন ।
বিশ্বব্যাংক এর মতে, সুশাসন গঠিত হয় রাজনৈতিক জবাবদিহিতা, নিয়মিত নির্বাচন, শাসন ব্যবস্থায় সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সুব্যবস্থাপনা, পেশাগত গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আমলাতান্ত্রিক জবাবদিহিতা, তথ্যের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, সুদক্ষ ও ফলপ্রসূ প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং সুশীলসমাজ ও সরকারের সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করার মধ্য দিয়ে।
পরিশেষে বলা যায় যে, পৌরনীতি ও সুশাসন হলো এমন একটি সামাজিক বিজ্ঞান, যা রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য, আচার-আচরণ এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে ধারাবাহিক পর্যালোচনা করে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions