হজ্জ কাকে বলে
হজ্জ অর্থ ইচ্ছা বা অভিপ্রায় পোষণ করা, আগ্রহ ব্যক্ত করা। কোনো কাজ সম্পাদনের সূদৃঢ় প্রত্যয় বা সিদ্ধান্ত পোষণ করা। পরিভাষায়, দৈহিক ও আর্থিক দিক দিয়ে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর জীবনে মাত্র একবার যিলহজ মাসে, ইহরামের সাথে, বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও আরাফাতে অবস্থানের যে নির্দেশ আল্লাহ তাআলা দান করেছেন তাকে হজ্ব বলে। হজ অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ একটি আমল। যেমন,
প্রতিজন সমর্থবান মুসলমানের উপর জীবনে একবার হজ্জ পালন করাকে আল্লাহ তাআলা ফরয করেছেন। কুরআনে এসেছে,
وَلِلهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا
‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য।' - (আলে ইমরান ৩: ৯৭)
ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদের মধ্যে হজ একটি। একে বাদ দিলে বা উপেক্ষা করলে ইসলামের মূল কাঠামো বিনষ্ট হবে।
হজ্জ ফরয হওয়ার পর তা পালন করা মুসলমান থাকার অন্যতম শর্ত। এ কারণেই রাসূল (স.)বলেছেন, “যাকে কোনো রোগ, কোনো প্রকৃত প্রয়োজন অথবা কোনো যালিম শাসক ঠেকিয়ে রাখে নি এরপরও যদি সে হজ না করে, তাহলে সে ইয়াহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করুক অথবা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক।” (মিশকাত)
হজ্জের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। আল্লাহ তাআলা হজ্জপালনকারীকে ক্ষমা করে দেন। রাসূলুল্লাজ (সা.) বলেন- “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ্জ করে এবং এ সময় কোন যৌন ক্রিয়া ও গুনাহের কাজ না করে তাহলে সে যেন সদ্যোজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করে।” (সহিহ বুখারি, মুসলিম)
হজ্জ এমন একটি বুনিয়াদ কেউ যদি এটি সঠিকভাবে আদায় করতে পারে এবং তা যদি আল্লাহর নিকট কবূল হয় তাহলে হজ্জ আদায়কারী জান্নাত লাভ করবে। প্রিয় নবি (স)বলেছেন– “মকবুল হজ্জের প্রতিদান বেহেশত ছাড়া আর কিছুই নয়।” (সহিহ বুখারি, মুসলিম)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions