ইসলামি সংস্কৃতি কি
ইসলামি জীবন দর্শনের আলোকে মানুষের ব্যবহারিক জীবন ও পরিবেশে যে সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়েছে তাই ইসলামি সংস্কৃতি। ইসলামি সংস্কৃতিতে ইসলামি মূল্যবোধ, আকীদা-বিশ্বাস ও আচরণিক কার্যাদি সবই ইসলামি শরিয়াতের অনুকূল থাকে । শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য শিল্প ইত্যাদি ইসলামি ভাবধারায় গড়ে উঠে।
এক কথায়, জীবনের বিভিন্ন স্তরে ইসলামি মৌল বিশ্বাসের ভিত্তিতে যত নিয়মাবলী, বিধি-বিধান পালনীয় এর সব কিছুই ইসলামি সংস্কৃতির অঙ্গ। ইসলামি জীবন বোধের বিপরীতে কোন আচার-আচরণ ও কৃষ্টি কোন মুসলমান গ্রহণ করলে তা ইসলামি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হয়না। বরং বিজাতীয় অনুকরণ, কুসংস্কার, বিদআত ও ক্ষেত্র বিশেষে শিরক হিসেবে আখ্যায়িত হয়। ইসলামি সংস্কৃতিতে বিজাতীয় অনুকরণ নিষিদ্ধ। মহানবি (স.) বলেন-
مَنْ تَشَبَّهِ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
“যে ব্যক্তি অপর জাতির অনুসরণ করবে সে সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে” । (মুসনাদে আহমদ)
ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব
ইসলামি শরিয়াতের মূল দাবি অনুযায়ী একজন মানুষ চিন্তা ও কর্মের সংস্কার ও পরিশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মুসলমান হতে পারে না। তাই, একজন মানুষকে ইসলামি সংস্কৃতিতে সংস্কৃতিবান হতে হলে প্রথমে মুসলমান হতে হবে অর্থাৎ ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসারি হতে হবে। ইসলামি সংস্কৃতি ইমানের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এটি ইমানের রক্ষাকবচ। মুসলিম জাতির পরিচিতি কেবল ইসলামি সংস্কৃতির মাধ্যমেই তুলে ধরা সম্ভব। সমাজে যদি ইসলামি সংস্কৃতির চর্চা না থাকে তাহলে বিজাতীয় সংস্কৃতি সেখানে বাসা বাঁধে। বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে জাতীয় সত্তা, পরিচিতি বা জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য ইসলামি সংস্কৃতির চর্চা আবশ্যক ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions