গবেষণা কি ? বা গবেষণা কাকে বলে?
গবেষণা হলো একটি পদ্ধতিগত সুশৃঙ্খল অনুসন্ধান প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও যথার্থ তথ্য আহরণ করা যায় এবং সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। কোনো ঘটনা বা সমস্যার প্রকৃতি, কারণ, প্রভাব প্রভৃতি সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে কার্যকর সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। গবেষণার ইংরেজি প্রতিশব্দ Research যার শাব্দিক অর্থ হলো পুনরায় (Re) অনুসন্ধান (Search)। সমাজকর্ম অভিধান অনুযায়ী গবেষণা হলো একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়।
এনসাইক্লোপিডিয়া অব স্যোশ্যাল সাইন্সেস (১৯৩০) এর ভাষ্যমতে, গবেষণা হলো জ্ঞান সৃষ্টি, সংশোধন বা যাচাইপূর্বক সাধারণীকরণের উদ্দেশ্যে বস্তু, প্রত্যয় বা প্রতীক নিয়ে কাজ করা, যাতে সেই জ্ঞান কোনো তত্ত্ব সৃষ্টি বা কোনো কৌশল অনুসন্ধানে সহায়তা করতে পারে ।
খুরশীদ আলম তাঁর ‘সমাজ গবেষণা পদ্ধতি (২০০৩) গ্রন্থে বলেন, গবেষণার কাজ হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সত্যকে অসন্ধান করা। অন্যকথায়, গবেষণার লক্ষ্য হচ্ছে বর্ণিত বিষয়গুলো সম্পর্ক জানা-
ক) পুরাতন তথ্য দিয়ে নতুন তথ্য সামান্যকীরণ করা;
খ) নতুন তথ্য দিয়ে পুরাতন সত্যকে জানা;
গ) পুরাতন তথ্য দিয়ে নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা;
ঘ) সম্পূর্ণ নতুন তত্ত্ব বা ধারণা সৃষ্টি করা বা নতুন কোনো ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করা; এবং
ঙ) গবেষণাধীন বিষয়ে কোনো বৈপরীত্য থাকলে তা দূর করা।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, গবেষণা মূলত জ্ঞনার্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি সুশৃঙ্খল অনুসন্ধান প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ, সার্বিক ও যথাযথ সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions