বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি
সময়ের প্রয়োজনে যে কোন দেশের সংবিধানের পরিবর্তন ও সংশোধন আবশ্যক হয়ে যেতে পারে। তাই প্ৰায় প্রত্যেক দেশেই সংবিধান সংশোধনীর বিধান থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানেও এ ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সংবিধান এ যাবৎ ১৬ বার সংশোধন হয়েছে। কাঠামোগতভাবে বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পবির্তনীয় সংবিধানের অন্তর্ভূক্ত। এ সংবিধান সংশোধনের জন্য বিশেষ এক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। সংবিধান সংশোধনীর জন্য অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হয়। সংবিধানের দশম ভাগে ১৪২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ আইন দ্বারা সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন বা রহিত করার ক্ষমতা রাখে। তবে এ জন্য নিম্নলিখিত শর্তগুলো মেনে চলতে হয়:
১. শিরোনাম/বিষয় নির্ধারণ : সংশোধনীর জন্য আনীত কোন বিলের শিরোনামে, এই সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হবে তা স্পষ্টরূপে উল্লেখ না থাকলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাবে না। [অনুচ্ছেদ- ১৪২(ক)]
২. সংসদ কর্তৃক গ্রহণ : সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হলে অনুরূপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হবে না। [অনুচ্ছেদ- ১৪২(খ)]
৩. উপরোক্ত নিয়মে কোন বিল গৃহীত হবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হলে, উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিকে সম্মতিদান করবেন, এবং তিনি সম্মতিদানে অসমর্থ হলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করেছেন বলে গণ্য হবে। [অনু: ১৪২(গ)]
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions