Home » » জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী

জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী

জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী

আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত হওয়ায় বাংলাদেশের সংবিধান কর্তৃক জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে বিস্তৃত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চমভাগে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে। সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত সকল ক্ষমতা জাতীয় সংসদের উপর ন্যস্ত। সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্য এবং সংরক্ষিত ৫০ জন নারী সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। এই সংসদের উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা ও কার্যাবলি নিম্নরূপ:

জাতীয় সংসদের কার্যাবলি

বাংলাদেশের আইনসভার কার্যাবলিসমূহ সংবিধান কতৃক স্বীকৃত। সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল—

আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত কার্যাবলি : আইন প্রণয়ন করার কাজটি আইন সভার প্রধান কাজ। বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইন বিভাগ এই কাজটি করে থাকে। এই বিভাগটি নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরাতন আইন বাতিলের ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশের আইন সভা কর্তৃক প্রণীত আইন দ্বারাই শাসন বিভাগ শাসনকার্য পরিচালনা করে ও বিচার বিভাগ তার বিচারিক কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে। মূলত: আইনের উৎস হিসেবে এই বিভাগটি তার প্রাধান্য শাসন ব্যবস্থায় সমুন্নত রাখে।

সংবিধান প্রণয়ন ও সংশোধন : বাংলাদেশের আইন সভা সংবিধান প্রণয়ন ও সংশোধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। দেশের সংবিধান উল্লিখিত দুইটি ক্ষমতাই আইন সভাকে প্রদান করেছে। এক্ষেত্রে আইন সভা সংবিধান সংশোধনকল্পে বিভিন্ন সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ ও প্রয়োজনে গণভোটের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

বিচার সংক্রান্ত কার্যাবলি : প্রয়োজনের নিরীখে কখনও বাংলাদেশের আইন সভা বিচার সম্পর্কিত কার্যাদিও সম্পাদন করে থাকে। এমনকি রাষ্ট্রপতিও যদি কোন গুরুতর অসদাচরণ করেন তাহলে সংবিধানের ৫২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ তাঁর অভিশংসন অর্থাৎ বিচারিক কাজটি করতে পারবে। আইনসভার সদস্য ও অন্যান্য নির্বাচিত উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন বিভাগ সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে কাজ করে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধের বিচার সংক্রান্ত ব্যাপারেও বাংলাদেশের আইনসভা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ।

শাসন বিভাগ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যাবলি : তত্ত্বগতভাবে শাসন বিভাগের নিয়ন্ত্রণকল্পে অর্থাৎ শাসন বিভাগের স্বেচ্ছাচারিতা রোধে আইন বিভাগ ভূমিকা পালন করে। তবে রাষ্ট্রভেদে তা ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশের আইন সভা সার্বভৌম হওয়ার দরুণ আইন বিভাগের এ ধরনের ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও, ভারসাম্যপূর্ণ শাসন ও প্রশাসনের তাগিদে শাসন বিভাগ আইন বিভাগের হস্তক্ষেপ মুক্ত থাকে। তবে আইন সভা কর্তৃক প্রণীত সাংবিধানিক আইন নির্বাহী বা শাসন বিভাগ মেনে চলতে বাধ্য থাকে। আইন সভা কর্তৃক প্রণীত আইন অমান্য করার অর্থ হল সংবিধানকে অগ্রাহ্য করা । অর্থ-সংক্রান্ত কার্যাবলি : বাংলাদেশের আইন সভা নানাবিধ অর্থ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। বিশেষ করে অর্থের অপচয় রোধে আইন সভা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চা করে তা নিয়ন্ত্রণ করে। বাজেট পেশসহ সরকারি আয়-ব্যয়ের পর্যালোচনা, পরবর্তী বছরের ব্যয় বরাদ্দের কাজ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কার্যকর করে তোলে। বাংলাদেশের আইন সভার অনুমতি ছাড়া কর ধার্য বা পুরাতন কর ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস সম্ভব হয় না।

শাসন সংক্রান্ত কার্যাবলি : বাংলাদেশের আইন সভা বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মচারী নিয়োগসহ বিভিন্ন সন্ধি বা চুক্তি অনুমোদন করা, যুদ্ধ ঘোষণা প্রভৃতি শাসন সংক্রান্ত কাজ করে থাকে ।

নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাবলি : বাংলাদেশের আইন সভা নির্বাচন সংক্রান্ত কতকগুলো কাজ সম্পাদন করে থাকে। যেমন, আইন সভার সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।


প্রতিনিধিত্বশীল কার্যাবলি :

আইন সভার সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকার জনগণের সমস্যাবলী সম্পর্কে আইন সভায় আলোচনা করে এবং এসব পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে আইন সভা আইন প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে ।

এ সকল কার্যাবলি ছাড়া বাংলাদেশের আইনসভা তদন্ত, বিচারকদের গুরুতর অসদাচরণের বিচারিক কাজ, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্রত্যক্ষ কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে ।

বাংলাদেশের আইন সভার পরোক্ষ কার্যাবলিগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বৈধকরণ, অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টি, দল ও জাতিসমূহের মধ্যকার বিরোধ দূরীকরণ, রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ইত্যাদি নানাবিধ কাজ ও আইনসভা করে থাকে ।

বাংলাদেশের আইন সভার কার্যাবলি আলোচনার পর এ কথা বলা যায় যে, আইন সভা সার্বভৌম হওয়ার কারণে এর কার্যাবলি ব্যাপক ও বিস্তৃত। আর তাই আইন সভা অন্য যেকোন দুইটি বিভাগ থেকে গুরুত্বের বিচারে কার্যত এগিয়ে থাকে ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *