কুরআন ও হাদিসে কুদসির মধ্যে পার্থক্য
মোল্লা আলী কারী হাদিসে কুদ্সির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন- হাদিসে কুদসি সেসব হাদিসকে বলা হয়, যার বর্ণনাধারা পূর্ণ চন্দ্রের ন্যায় উজ্জ্বল, এবং অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। হযরত মুহাম্মদ (স) কখনও জিবরাঈলের মাধ্যমে জেনে আবার কখনো সরাসরি ওহী কিংবা ইলহাম বা স্বপ্নযোগে জেনে নিজ ভাষায় বর্ণনা করেছেন।”
আল্লামা আবুল বাকা বলেন-“ কুরআনের শব্দ, ভাষা, অর্থ, ভাব ও কথা সবই আল্লাহর নিকট হতে সুস্পষ্ট ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত। আর হাদিসে কুসির শব্দ ও ভাষা রাসূলের (স) নিজস্ব; কিন্তু এর ভাব ও কথা আল্লাহর নিকট হতে ইলহাম কিংবা স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত।”
অন্যান্য হাদিসের চেয়ে হাদিসে কুদসীর গুরুত্ব বেশি। আল-কুরআন ও হাদিসে কুদসীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
কুরআন ও হাদিসে কুদসির মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিম্নে দেয়া হলো:
আল-কুরআন:
১. আল-কুরআন মহান মহান আল্লাহর বাণী এবং তা 'লাওহে মাহ্' হতে নাযিল হয়েছে।
২. কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া নামায সহীহ হয় না।
হাদিসে কুদসি:
১. হাদিসে কুদসির মূল বক্তব্য আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত, কিন্তু ভাষা রাসূল (স) এর।
২. কুরআনের পরিবর্তে হাদিসে কুদসি নামাযে পাঠ করলে নামায হয় না।
৩. হাদিসে কুদসি মু'জিযা নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions