কুরআন ও হাদিসের পার্থক্য
কুরআন ও হাদিস ইসলামি জীবন বিধানের উৎস। কুরআন মাজীদ ইসলামি শরীআতের প্রথম ও প্রধান উৎস এবং হাদিস দ্বিতীয় উৎস। ইসলামের যাবতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান এ দুটোকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। এ দুটো একই উৎস থেকে উৎসারিত। তবে কুরআন মাজীদ স্বয়ং আল্লাহ পাকের ভাব-ভাষা মর্ম সম্বলিত আর হাদিস আল্লাহর পরোক্ষ ইঙ্গিত যা রাসূলের ভাষায় প্রকাশিত।
কুরআন ও হাদিসের পার্থক্য সমূহ নিম্নরূপ:
কুরআন :
১. কুরআন মাজীদ আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ ওহী
২. কুরআন হযরত জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যমে নাযিল হয়েছে।
৩. কুরআনের শব্দাবলি ও ভাষা উভয়ই আল্লাহর নিজের।
৪. কুরআনকে বলা হয় “ওহীয়ে মাতলু।
৫. নামাযে কুরআন পাঠ করা ফরয।
৬. কুরআনের সবকিছুই মুতাওয়াতির বা সর্বসম্মতভাবে বর্ণিত ।
৭. কুরআন শরীআতের অকাট্য দলিল ।
৮. কুরআনে রাসূলের কোন কিছুই সংযোজন কিংবা বিয়োজনও নেই ।
৯. কুরআনের যে কোন বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয়।
১০.অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা নিষেধ ।
১১. কুরআন রাসূলের এক চিরন্তন মুজিযা।
১২. কুরআন ইসলামি শরীআতের প্রধান ভিত্তি
হাদিস :
১. হাদিস আল্লাহর পক্ষ থেকে পরোক্ষ ওহী।
২. হাদিস অপ্রকাশ্য ওহী এবং মহানবী (স)-এর বাণী ।
৩. হাদিসের শব্দাবলি রাসূলের নিজস্ব।
৪. হাদিসকে বলা হয় “ওহীয়ে গায়রে মাতলু” বা অপঠিতব্য প্রত্যাদেশ।
৫. নামাযে হাদিস পাঠ করা যায় না।
৬. হাদিস একক ব্যক্তির থেকেও বর্ণিত হয়েছে।
৭. হাদিস কুরআনের মত ততটা অকাট্য দলিল নয়।
৮. বিনা উযুতে হাদিস স্পর্শ করা যায়।
৯. হাদিস মুজিযা নয়।
১০. হাদিস ইসলামি শরীআতের দ্বিতীয় ভিত্তি।
শরীআতের দৃষ্টিতে কুরআন ও হাদিসের পার্থক্য সুস্পষ্ট। মর্যাদা ও মূল্যমানের দিক থেকে আল-কুরআন প্রথম এবং হাদিসের স্থান দ্বিতীয় ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions