কুরআন কত দিনে অবতীর্ণ হয়
মহান আল্লাহ মানুষের হিদায়াতের জন্য তাঁর মনোনীত সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর প্রতি আল-কুরআন নাযিল করেন। প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে নবী জীবনের সুদীর্ঘ ২৩ বছর ব্যাপী তা নাযিল হয়েছিল। এটি লাওহে মাহফুযে সুরক্ষিত ছিল ।
কুরআন মাজীদ “লাওহে মাহফু” থেকে মহানবীর (স) কাছে দুই পর্বে নাযিল হয় ।
লাওহে মাহফুয থেকে বায়তুল ইয়্যাতে
লাওহে মাহফুযে আল-কুরআন রক্ষিত ছিল। সেখান থেকে পরিপূর্ণ কুরআন একই সাথে রমযান মাসের কদর রাতে পৃথিবী সংলগ্ন বায়তুল ইয়্যাতে নাযিল হয়। মহান আল্লাহ বলেন-
شهرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْآنَ
إِنَّا أَنزَلَهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
“রামাযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে।” (সূরা বাকারা ২: ১৮৫)
“নিশ্চয় আমি কদর রাতে কুরআনকে নাযিল করেছি। (সূরা কদর ৯৭ : ১)
মহানবী (স) বলেন : “লাওহে মাহফুয হতে কুরআনকে পৃথিবীর আকাশে বায়তুল ইয়্যাতে রাখা হয়। তারপর জিবরাঈল (আ) ক্রমশ তা আমার প্রতি নাযিল করতে থাকেন।” (বায়হাকী)
বায়তুল ইয়্যাত হতে মহানবীর (স) প্রতি
এর পর বায়তুল ইযযাত থেকে মহানবীর (স) প্রতি আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাঈলের (আ) মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ওহীযোগে কুরআন নাযিল হতে থাকে। তা একসাথে নাযিল হয়নি; বরং প্রয়োজনের আলোকে কুরআনের কোন কোন আয়াত ও খণ্ড খণ্ড সূরা ধারাবাহিকভাবে তেইশ বছর ব্যাপী নাযিল হয়।
মহান আল্লাহ বলেন-
وقرانا فرقنه لتقراه على الناس على مكث ونزلنه تنزيلا
“আমি কুরআন নাযিল করেছি খণ্ড খণ্ডভাবে যাতে তুমি তা মানুষের নিকট পাঠ করতে পার ক্রমে ক্রমে এবং তা ক্রমশ নাযিল করেছি ।” (সূরা বনী ইসরাইল ১৭ : ১০৬ )
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions