কুরআন নাযিল হয় কত সালে
৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (স)-এর ৪০ বছর বয়সে রামাযান মাসের কদরের রাতে হেরা গুহায় সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাযিল হয়।
কুরআন নাযিলের ইতিবৃত্ত
পবিত্র কুরআন ওহী হিসেবে অবতীর্ণের সূচনা সম্পর্কে সহীহ বুখারীতে উল্লেখ আছে। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা (রা) বর্ণনা করেন-
“মহানবীর (স) প্রতি সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে ওহী নাযিলের সূচনা হয়েছিল। অতঃপর তাঁর মধ্যে নির্জনে ইবাদাত করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখন তিনি হেরা পর্বতের একটি গুহায় রাত দিন ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন। এমতাবস্থায় এক রাতে হযরত জিবরাঈলের (আ) মাধ্যমে তাঁর নিকট সর্বপ্রথম সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাযিল হয়। জিবরাঈল (আ) মহানবীর (স) নিকট এসে বললেন, পড়ুন! তিনি বললেন- আমি পড়তে পারি না। তিনি বলেন, তখন জিবরাঈল (আ) আমাকে চেপে ধরলেন, তারপর ছেড়ে দিয়ে আবার বললেন: পড়ুন। আমি আবার বললাম আমি পড়তে পারি না। তিনি পুনরায় আমাকে চেপে ধরে ছেড়ে দিয়ে বলেন, পড়ুন। আমি বললাম আমি পারিনা। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, ফেরেশতা পুনরায় আমাকে ধরে জোরে কোলাকুলি করায়, আমার ভীষণ কষ্ট হলো। এবার তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলেন,
إِقْرَا بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ - خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ - إِقْرَا وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ.
পড়ুন আপনার প্রভুর নামে, যিনি মানুষকে জমাট বাধা রক্ত হতে সৃষ্টি করেছেন, পড়ুন, আর আপনার প্রভু মহিমান্বিত (বুখারী)
এরপর মহানবী (স) কম্পিত হৃদয়ে ঘরে ফিরে বিস্তারিত ঘটনা স্ত্রী খাদীজা (রা)-কে বললেন। খাদীজা (রা) সবকিছু শুনে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে স্বীয় চাচাতো ভাই ধর্ম বিশেষজ্ঞ ওয়ারাকা ইবনে নওফেল- এর নিকট নিয়ে যান। ‘ওয়ারাকা' সবকিছু শুনে বললেন- ভয় নেই, মূসার (আ) কাছে আল্লাহ যে নামুসকে পাঠিয়েছেন, এ সেই নামুস (অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল ফেরেশতা)। আপনিই প্রতিশ্রুত শেষ নবী। আমি বেঁচে থাকলে আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। ওয়ারাকার কথায় নবী করীম (স) ও খাদীজা (রা) আশ্বস্ত হলেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions