ব্যবসায় যোগাযোগ কাকে বলে
যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যবসায় যোগাযোগ। এক কথায় ব্যবসায় পরিচালনা সংক্রান্ত যোগাযোগকে ব্যবসায় যোগাযোগ বলে। ব্যাপক অর্থে, ব্যবসায় পরিচালনার জন্য উৎপাদন, বণ্টন এবং এদের সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে ভাব, তথ্য, ধ্যান-ধারণার আদান- প্রদান করাকেই ব্যবসায় যোগাযোগ বলে । সুতরাং, একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ব্যবসায়ের সকল পক্ষের সাথে তথ্য, ভাব, ধারণার আদান-প্রদান করাকে ব্যবসায় যোগাযোগ বলে। একটি প্রতিষ্ঠানের সফলতা অনেকাংশেই নির্ভর করে সুষ্ঠু কার্যকর ব্যবসায় যোগাযোগের উপর।
ব্যবসায় যোগাযোগের পরিস্থিতি
যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে আবার ব্যক্তিগতভাবেও, বিভিন্ন ধরণের তথ্য এক স্থান থেকে আরেক স্থানে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য বা নির্দেশনা অধস্তন কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়। অধস্তন কর্মীদের তথ্য, নির্দেশনা, আদেশ ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য সফলভাবে অর্জন করা সম্ভব হয়। আবার অনেকসময়, অধস্তন কর্মকর্তাও তাদের সম্পন্নকৃত কাজের অবস্থা, সমস্যা বা জরুরি তথ্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সরবরাহ করে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে অবস্থান, ব্যক্তি, সময় বা পরিস্থিতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত প্রধান মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিবেদন, ইমেইল, আদেশ, নির্দেশনা বা বার্তা আদান-প্রদান হয়। এই যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ব্যক্তি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সভা, প্রতিবেদন বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। আবার, অনানুষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবেও তথ্যের বিনিময় হয়। প্রতিষ্ঠানের ধরণের উপর ব্যবসায় যোগাযোগের বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো ব্যাংক গ্রাহককে তার একাউন্ট বা হিসাবের তথ্য দেবার জন্য ইমেইল, চিঠি, টেলিফোন বা মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। আবার, ব্যাংক প্রসার ও প্রচারের জন্য টেলিভিশন বা দৈনিক পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, ছোট কোনো চায়ের দোকানে ভোক্তা বা কর্মচারীদের সাথে সরাসরি কথা বলে তথ্য বা বার্তা আদান-প্রদান করা হয়। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকা বা দেশের অফিসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ইমেইল, মোবাইল, বা টেলিকনফারেন্সিং ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions