Home » » তুলনামূলক শিক্ষা কি

তুলনামূলক শিক্ষা কি

তুলনামূলক শিক্ষা কি

পৃথিবীর সব দেশেই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হল নাগরিকদের দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতার বিকাশ সাধনে সহায়তা করা যাতে সমাজ ও দেশের সর্বাঙ্গীন সমৃদ্ধি অর্জনে তারা অবদান রাখতে পারে। লক্ষ্যের দিক থেকে তেমন কোন পার্থক্য না থাকলেও শিক্ষার কাঠামো ও ব্যবস্থার দিক থেকে দেশে দেশে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। প্রত্যেক দেশ নিজ নিজ উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের নিরিখেই সবচেয়ে উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ও বিকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, আর্থসামাজিক অবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্যের কারণে এক দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য দেশের পক্ষে হুবহু গ্রহণ বা অনুসরণ করা সম্ভব নয়। তবে অন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের পিছনে যে নিরন্তর প্রচেষ্টা, ব্যার্থতা ও সাফল্যের ইতিহাস রয়েছে তা যথাযথ চর্চার মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রশাসকগণ নিজ নিজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যবলি ও গুণাগুণ আরও ভালভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।

আধুনিক শিক্ষাবিদগণের মধ্যে এ বিষয়ে দ্বিমত নেই যে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অগ্রগতির নিশ্চয়তা বিধানের ক্ষেত্রে তুলনামলক শিক্ষার বিশেষ অবদান রয়েছে। তুলনামূলক শিক্ষার মাধ্যমে অন্য দেশের শিক্ষার বৈশিষ্ট্য, কাঠামো, প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও গুণগতমান সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা সম্ভব। শিক্ষা সংস্কারের বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিশে- যণ, পরীক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের কোন পর্যায়ে আছে তা পরিমাপ করা যায়। তা ছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি সন্নিবেশিত করে নিজ দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি সাধন করাও সম্ভব হয়।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ তুলনামূলক শিক্ষা বলতে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সূত্র ও বিবিধ - বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার তত্ত্ব ও তথ্যের গ্রন্থনা ও বিশ্লেষণ বোঝাত। তুলনামূলক শিক্ষার অন্যতম জনক স্যার মাইকেল স্যাডলার সর্বপ্রথম তুলনামূলক শিক্ষার সংজ্ঞা ও ধারণার প্রসার ঘটান। পরবর্তীতে ক্যান্ডেল, ম্যালিনসন, হাস্‌ প্রমুখ শিক্ষাবিদগণ তুলনামূলক শিক্ষা সম্পর্কে নিজ নিজ ধারণা ব্যক্ত করেন এবং তুলনামূলক শিক্ষার সংজ্ঞা প্রদানের চেষ্টা করেন।

তুলনামূলক শিক্ষার সংজ্ঞা

স্যাডলার তুলনামূলক শিক্ষার স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে যেয়ে উল্লেখ করেন: “In studying foreign systems of education we should not forget that the things outside the schools matter even more than the things inside the schools. . . . . 'A national system of education is a living thing, the outcome of forgotten struggles and difficulties and of battles long ago. It has in it some of the secret workings of national life.” অর্থাৎ যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যালয় বহির্ভুত বিষয় ও পরিবেশ বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অপেক্ষা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা নিরন্তর গতিশীল, দীর্ঘকালীন আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে এবং জাতীয় জীবনের গভীরে এর বীজ নিহিত থাকে। তাই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উপাদান শুধু একত্রিত করলেই কোন দেশের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনা, এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় জীবনের গভীরে অবগাহন। সুতরাং স্যাডলারের দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলনামূলক শিক্ষা হল এমন একটি অধ্যয়ন বা পরিচর্চার বিষয় যার সাহায্যে আমরা আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য ও সত্ত্বার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে পারি এবং নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সার্বিকভাবে উপলব্ধি করতে পারি।

স্যাডলার যদি তুলনামূলক শিক্ষার পথ নির্দেশক হন, তবে ক্যান্ডেল হলেন সেই পথের প্রথম পরিব্রাজক। স্বভাবতঃই এ পরিক্রমার ফলে তুলনামূলক শিক্ষার ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত এবং ব্যাপক হয়েছে। ক্যান্ডেলের ভাষায়, The purpose of comparative education, as of comparative law, comparative literature or comparative anatomy, is to discover the differences in the forces and causes that produce differences in educational systems. সুতরাং, ক্যান্ডেলের মতে যে সকল কারণ, শক্তি ও উপাদান কোন সমাজের কৃষ্টিকে রূপদান করে এবং যে সকল শক্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের অধ্যয়নই তুলনামূলক শিক্ষাতত্ত্ব।

অপর এক বিশেষজ্ঞ ম্যালিনসন তুলনামূলক শিক্ষা বলতে ক্যান্ডেলের ধারণাই প্রায় পূণর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে নিয়মানুগ পরীক্ষা ও নিরীক্ষার মাধ্যমে সমাজ, কৃষ্টি ও তাদের শিক্ষার তুলনামূলক পর্যালোচনাই তুলনামূলক শিক্ষাতত্ত্ব, যা বিভিন্ন কৃষ্টির শিক্ষার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য এবং এসব সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের কারণ নির্ধারণ করতে সচেষ্ট হয়।

তুলনামূলক শিক্ষার পরিসর

তুলনামূলক শিক্ষার ধারণা এখন পর্যন্ত বিকাশমান পর্যায়ে রয়ে গেছে। ফলে এর ব্যাপ্তি বা পরিসর সম্পর্কে কোন সর্বসম্মত ধারণা দেওয়া সহজ নয়। তুলনামূলক শিক্ষার সংজ্ঞা প্রদান প্রসঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে স্যাডলার, ক্যান্ডেল ও ম্যালিনসন-এর অভিমত থেকে এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। এবার দেখা যাক, তুলনামূলক শিক্ষা যাঁদের অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে এমন আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এ সম্পর্কে কি বলেন:

আই এল ক্যান্ডেলের অভিমত

ক্যান্ডেলের মতে তুলনামূলক শিক্ষার পরিসর শুধু শিক্ষার কাঠামো, সংগঠন, প্রশাসন, শিক্ষাক্রম ও শিক্ষাদান পদ্ধতির চর্চা বা অধ্যয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং বিভিন্ন দেশের শিক্ষা সংশিষ্ট সমস্যাবলীর কারণ অনুসন্ধান এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আদর্শের আলোকে ঐসব সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা সম্পর্কে অধ্যয়নও তুলনামূলক শিক্ষার আওতাভুক্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: The comparative study of education must be founded on the analysis of the social and political ideals which the school reflects, for the school epitomizes these for transmission and for progress.

অধ্যাপক নিকোলাস হাসের অভিমত

হাসের মতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে জাতীয় চরিত্রের উপর ভিত্তি করে, আর জাতীয় চরিত্র গড়ে ওঠে জাতিগত ও ভাষাগত সংমিশ্রণ, ধর্মীয় আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক পারিপার্শ্বিকতার মধ্য দিয়ে। সুতরাং, শিক্ষার স্বরূপ উপলব্ধি করতে হলে জাতীয় চরিত্র গঠনের এইসব উপাদানের বিশ্লেষণ ও প্রয়োজন।

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন অতীতকে অস্বীকার করতে পারে না, তেমনি ভবিষ্যতের উপরও এর ছায়াপাত রূদ্ধ করতে পারেনা। হাস লক্ষ্য করেছেন যে বিভিন্ন দেশের সংস্কার, প্রথা, ঐতিহ্য, পরিবেশ এবং ইতিহাসের মধ্যে কিছু কিছু সংগতি রয়েছে এবং যেহেতু এগুলোর উপর ভিত্তি করেই শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে, সে কারণে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা সমস্যার ক্ষেত্রেও একটা অদ্ভুত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এ কারণেই তিনি তুলনামূলক আলোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন।

জেএফ ক্রমার এবং জিএস ব্রাউনের অভিমত

ক্র্যামার এবং ব্রাউনের মতানুসারে তুলনামূলক শিক্ষার আওতায় শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশে দেশে পার্থক্য ও অনগ্রসরতার কারণ অনুসন্ধানের সাথে সাথে এ সবের পর্যালোচনাও প্রয়োজন। কেননা যে কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সেই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় পরিস্থিতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন, কোন দেশের সরকার যদি জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কঠোর শাসনাধীনে আবদ্ধ রাখতে চায় তবে সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মৌল চরিত্র হবে লক্ষ্য পূরণের সহায়ক। ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানী শাসনামলে প্রণীত বাংলাদেশ ভূখন্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ফিলিপ ই জোন্‌স-এর অভিমত

জোস তুলনামূলক শিক্ষার পদ্ধতিকে শিক্ষামূলক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তুলনামূলক শিক্ষার তাৎপর্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন: “Comparative education, with its rapidly increasing resources and its hopes for better methods, seems admirably suited to provide a more rational basis for planning."

এডমন্ড জে কিং-এর অভিমত

কিং-এর মতে তুলনামূলক শিক্ষা হল এমন একটি অধ্যয়নের বিষয় যা অনাগত ভবিষ্যতের স্বরূপ সম্পর্কে আমাদের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্তকে সুসমবদ্ধ করে। তিনি মনে করেন বর্তমান বিশ্বে সামাজিক ও শিক্ষামূলক সমস্যাবলী কোন একটি দেশের পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব নয়, এজন্য বিভিন্ন দেশ, সমাজ ও কৃষ্টির প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে।

জর্জ বিয়ারডের অভিমত

অধ্যাপক জর্জ বিয়ারডে কোন একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠার পিছনে যে দার্শনিক ও সামাজিক নীতিগুলো কার্যকরী থাকে তারই নিরিখে তুলনামূলক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তাঁর মতে, বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যে সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য থাকে এবং তাদের মধ্যে যে পারস্পরিক দোষগুণ বর্তমান, তাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করাই তুলনামূলক শিক্ষার কাজ। প্রকৃতপক্ষে, মৌল নীতি ভিত্তিক ঐতিহাসিক বিশ্লেষণী চর্চাই হল তুলনামূলক শিক্ষা ।

শাইডার-এর অভিমত

শাইডার তুলনামূলক শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় আরও স্পষ্ট করে উলে- খ করতে চেষ্টা করেছেন। তিনি কতকগুলো অপরিহার্য উপাদানের কথা উলে-খ করেছেন যার উপর শিক্ষার তত্ত্বগত ও প্রায়োগিক দিক বহুলাংশে নির্ভর করে। তাঁর মতে, শিক্ষার স্বরূপ ও কাঠামো নির্ভর করে দেশের জাতীয় চরিত্র, ভৌগোলিক পরিস্থিতি, সাংস্কৃতিক-বৈজ্ঞানিক-দার্শনিক পটভূমি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ধর্ম, ইতিহাস ও বৈদেশিক প্রভাবের উপর।

আমরা এই পাঠে তুলনামূলক শিক্ষার সংজ্ঞা প্রদানের লক্ষ্যে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম এবং তুলনামূলক শিক্ষার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতামত অনুধাবন করলাম। পরবর্তী পাঠে আমরা তুলনামূলক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত হতে চেষ্টা করব।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *