ই বিজনেস কাকে বলে
পণ্য এবং সেবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক যোগ করছে নতুন এক মাত্রা। ফলে ঘরে বসেই একজন ক্রেতা তার পণ্য পছন্দ করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাকে বলা হচ্ছে ই-বিজনেস। এমনকি এখন ঘরে বসেই উন্নত বিশ্বের একজন নাগরিক পছন্দনীয় পণ্যের নিলামের ডাকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং তাঁর দাম সর্বোচ্চ হলে আপনিই হবেন তার গর্বিত মালিক। এসব ক্ষেত্রে দূরত্ব, সময় এবং নির্ভরতাকে একত্রিত করেছে নেটওয়ার্ক।
লাইব্রেরীর ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক বয়ে এনেছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। যেমন আমেরিকার লাইব্রেরী অফ কংগ্রেসের বিভিন্ন ধরনের বই, ম্যাগাজিন, জার্নাল রিসার্চ পেপার প্রভৃতি সংক্রান্ত সংগ্রহের সংখ্যা ৬ কোটিরও বেশি। এই লাইব্রেরী অফ কংগ্রেসের বিভিন্ন তথ্য এখন কম্পিউটারে সংরক্ষিত। ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে এইসব তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবহার্য এ ধরনের লাইব্রেরীগুলোকে বলা হচ্ছে ভার্চুয়াল লাইব্রেরী (Virtual Library)। বিশ্বের বহু ভার্চুয়াল লাইব্রেরী এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত, ফলে বিশ্বের ভিন্ন প্রান্তের ছাত্র, গবেষক তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ঘরে বসেই সংগ্রহের সুযোগ পাচ্ছেন।
নেটওয়ার্কের যে সব ব্যবহারগুলোর কথা আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম, এগুলো অনেক জনপ্রিয় এপ্লিকেশনের মাত্র কয়েকটি। প্রকৃতপক্ষে নেটওয়ার্ক উন্নয়ন শুরু হয়েছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণায় ফলাফল বিনিময়ের জন্য। এই বিষয়ে ১৯৬৯ সালে প্রথম সফলতা অর্জন সম্ভব হয়। বর্তমানে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সব স্থাপনা, নৌবহর, বিমানবহর, সৈন্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, হোয়াইট হাউস এখন নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর মাধ্যমে যুক্ত যেখানে আক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার মূহুর্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রতি আক্রমণের যথাযথ নির্দেশ জানিয়ে দেয়া সম্ভব হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions