Home » » সাংগঠনিক আচরণের মৌলিক উপাদান

সাংগঠনিক আচরণের মৌলিক উপাদান

সাংগঠনিক আচরণের মৌলিক উপাদান

সাংগঠনিক আচরণের মৌলিক উপাদানসমূহ

Key Elements of Organizational Behavior

সংগঠনের মানুষের আচরণ কতিপয় উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ আচরণ সঠিকভাবে বুঝতে হলে এর উপাদানগুলো সম্পর্কে জানা আবশ্যক। সাংগঠনিক আচরণের মৌলিক উপাদানগুলো Keith Davis এবং Newstorm একটি চিত্রের সাহায্যে দেখিয়েছেন:

সাংগঠনিক-আচরণের-মৌলিক-উপাদান

১. মানুষ (People): মানুষবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা, সংগঠনের লক্ষ্য অর্জনে মানুষের ভূমিকাই অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সংগঠনে ‘মানুষ' বলতে কর্মরত ব্যক্তি, দল, উপদল এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গকে বুঝায়। এ মানুষগুলো সচেতনভাবে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পাদন করে থাকে। তাদের কামনা-বাসনা ও প্রত্যাশার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে কর্ম পরিবেশ গড়ে তুলতে হয়। অনুকূল পরিবেশ সংগঠনের লক্ষ্য ও কর্মীদের লক্ষ্য যুগপৎভাবে অর্জন করতে সাহায্য করে।

২. কর্ম (Job and Task): দক্ষ ও ফলপ্রসূভাবে কর্মসম্পাদনের জন্য কর্ম বিভাজনের সৃষ্টি। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সঠিকভাবে অর্জনই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কর্মে বিভক্ত করে উপযুক্ত ব্যক্তি বা দলকে সে সব কর্মসম্পাদনের দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রদান করা হয়। দক্ষতার সাথে কর্মসম্পাদন করতে হলে কর্ম বিশ্লেষণ (Job analysis) করে কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বণ্টন করা আবশ্যক। কর্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা কাজকে সংজ্ঞায়িত করতে পারি এবং দ্রুততার সাথে কর্মসম্পাদন করতে হলে কর্মচারীদের কিরূপ আচরণ করা প্রয়োজন তা নিরূপণও করতে পারি।

৩. কাঠামো (Structure): সাংগঠনিক কাঠামো দ্বারা একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের নির্বাহীগণের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এটা নির্বাহীদের ক্ষমতা, সীমারেখা এবং তাদের উপর ন্যস্ত কার্যাবলি ও পদমর্যাদা নির্দেশ করে। স্বাভাবিকভাবেই এর মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়, কর্মসম্পাদনের জন্য কে কার নিকট দায়ী। সংগঠনে কাঠামো দুই ধরণের সম্পর্ক তুলে ধরে, যথাঃ উল্লম্ব (Vertical) এবং অনুভূমিক (Horizontal)। ক্ষমতা যখন উপর থেকে নিচের দিকে প্রবাহিত হয় তখন তাকে উল্লম্ব সম্পর্ক বলে। অন্যদিকে, একই পদমর্যাদা সম্পন্ন বিভিন্ন কর্মকর্তার মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ককে অনুভূমিক সম্পর্ক বলে। বিভিন্ন প্রকার সাংগঠনিক কাঠামো, টেকনিক্যাল দিক এবং সুবিধা-অসুবিধা সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকলে ব্যবস্থাপকদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামো নির্বাচন সহজতর হয়।

8. প্রক্রিয়া (Process) : ব্যবস্থাপকগণ কীভাবে এবং কোন পন্থায় কার্য সম্পাদন করবেন তা সংগঠনের কাঠামোর দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কার্য সম্পাদনের উপায়, প্রয়োজনীয় প্রেষণা ও সুস্পষ্ট নির্দেশনার উল্লেখ থাকে। কার্য সম্পাদন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে ।

৫. সাংগঠনিক পরিবেশ (Organizational Environment): প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বিরাজমান সামগ্রিক অবস্থাকে সাংগঠনিক পরিবেশ বা অভ্যন্তরীন পরিবেশ বলে, যেখানে সকল কর্মী তাদের কর্তব্য ও কর্মসম্পাদন করে। এ পরিবেশের উপাদানের মধ্যে মালিকপক্ষ, শেয়ারহোল্ডার, কর্মচারী এবং পরিচালক পর্ষদ অন্তর্ভুক্ত। এসব উপাদান প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমের উপর প্রভাব বিস্তার করে। কারণ এরা খুব কাছে থেকে ব্যবস্থাপনার কার্যকে অবলোকন করে। এ পরিবেশ যত কর্মী অনুকূল ততই সংগঠনে গতিশীলতা বাড়ে।

৬. বাহ্যিক পরিবেশ (External Environment): বাহ্যিক পরিবেশ বলতে কোনো প্রতিষ্ঠানের পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে বুঝায়। এ পরিবেশ দুভাগে বিভক্ত: (ক) সাধারণ পরিবেশ এবং (খ) কার্য পরিবেশ। প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে যেসব পারিপার্শ্বিক অবস্থা/শক্তিসমূহ প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবিত করে সেগুলো দ্বারা সৃষ্টি হয় সাধারণ পরিবেশের। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিবেশের উপাদানগুলো হলো- অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আইনগত এবং আন্তর্জাতিক। পক্ষান্তরে, কার্য পরিবেশ সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিগোষ্ঠী বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত। অনুকূল সাংগঠনিক পরিবেশ বজায় রাখতে হলে পরিবর্তনশীল বাহ্যিক পরিবেশের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে সবসময় সজাগ থাকা বাঞ্ছনীয় ।

৭. প্রযুক্তি (Technology): কোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর মান নির্ভর করে সঠিক প্রযুক্তি ও তার ব্যবহারের উপর। কর্মীরা শুধুমাত্র তাদের হাত ব্যবহারের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পাদন করতে পারেনা। যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাঙ্খিত কার্য সুচারুভাবে সম্পাদন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে কাজের প্রকৃতি ও পদ্ধতিও অনেকাংশে নির্ধারিত হয়ে যায়। প্রযুক্তির ব্যবহার সংগঠনে মানবীয় সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে। মনে রাখা দরকার, প্রযুক্তির অতি ব্যবহারের কারণে মানবীয় সম্পর্কের অবনতিও হতে পারে। প্রযুক্তি শুধুমাত্র উৎপাদন পদ্ধতি বা কৌশলকেই পরিবর্তন করে না, এর প্রভাবে আমাদের পুরো জীবন-স্বভাবই বদলে যাচ্ছে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *