Home » » আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে

আলোর প্রতিসরণ (Refraction of Light) :

আমরা জানি আলোক রশ্মি স্বচ্ছ ও সমসত্তব মাধ্যমে সবসময় সরল রেখায় চলে। কিন্তু আলোকরশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন তার গতিপথ বেঁকে যায়। আলোক রশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে লম্বভাবে আপতিত না হয়ে যদি তির্যকভাবে আপতিত হয় তাহলে মাধ্যম দুটির বিভেদতলে আলোক রশ্মির গতিপথ পরিবর্তনের এ ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলা হয়।

আলোর-প্রতিসরণ
এ রশ্মিচিত্রের সাহায্যে আলোর প্রতিসরণ দেখানো হয়েছে। চিত্রে XY বিভেদ তল। PO একটি আলোক রশ্মি বিভেদ তলের O বিন্দুতে আপতিত হয়ে OR পথে কাচের মধ্যে গমন করে। MN হলো অভিলম্ব, PO আপতিত রশ্মি এবং O হলো আপতন বিন্দু। আমরা জানি, বায়ু অপেক্ষা কাচের ঘনতব বেশি। রশ্মিটি বায়ু মাধ্যম হতে কাচ মাধ্যমে প্রবেশ করার সময় OQ পথে না গিয়ে একটু বেঁকে ON এর দিকে সরে গিয়ে OR পথে গমন করে। এখানে OR প্রতিসরিত রশ্মি। তাহলে চিত্র হতে পাওয়া যায়, ∠POM = আপাতন কোণ = ∠i এবং ∠RON = প্রতিসরণ কোণ = ∠r। আপতন কোণ ∠i, প্রতিসরণ কোণ ∠r থেকে বৃহত্তর হয়। অর্থাৎ ∠i >∠r

যদি রশ্মিটি PO বরাবর আপতিত না হয়ে লম্বভাবে MO বরাবর আপতিত হতো তাহলে ON বরাবর চলে যেত।

আলোর প্রতিসরনের সূত্র

আলোর প্রতিসরণের সময় আলোক রশ্মি দুটি নিয়ম মেনে চলে। এই নিয়মগুলোকে সূত্রে প্রকাশ করলে নিম্নরূপভাবে লেখা যায়।

প্রথম সূত্র : আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি এবং আপাতন বিন্দুতে অংকিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে।

দ্বিতীয় সূত্র : এক জোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুব থাকে। চিত্র অনুসারে লেখা যায়:

আলোর-প্রতিসরণ-সুত্র

এই ধ্রুবককে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়। μ কে মিউ হিসেবে উচ্চারণ করা হয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *