চোখ ভালো রাখার উপায়
চোখ আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। একটু ভাবুন তো চোখ না থাকলে আমাদের কি হতো? আমরা পৃথিবীর কিছুই দেখতে পেতাম না। তাহলে এই প্রয়োজনীয় অঙ্গ চোখকে ভাল রাখার জন্য চোখের যথাযথ যত্নের প্রয়োজন। বিভিন্ন উপায়ে চোখকে ভাল ও সুস্থ রাখা সম্ভব। সঠিক পুষ্টি গ্রহণ, সঠিক জীবনধারণ পদ্ধতি অনুসরণ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবহার ইত্যাদি।
দৈনিক পরিমাণমত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা চোখের জন্য খুবই জরুরী। যেমন ভিটামিন এ, সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার, ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, গাঢ় সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল চোখের জন্য খুবই উপকারী। এ ধরনের খাবার চোখকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
চোখের যত্মের জন্য সঠিক জীবনধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম চোখের ক্লান্তি দূর করে। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পর শরীরের মত চোখও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সবুজ প্রকৃতির দিকে কিছুক্ষণ তাকানো চোখের জন্য উপকারী। প্রচন্ড রোদ চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূর্যের অতিবেগুনী রশিম থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য রোদে বের হলে সানগস্নাস ব্যবহার করা খুবই জরুরী। এছাড়া যে কাজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ যেমন রান্নার সময়, ঝালাইয়ের কাজ, ল্যাবরেটরীতে রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত টেলিভিশন, ইনটারন্টে, কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের জল শুকিয়ে যায়, চোখ ব্যথা করে। তা এইসব অভ্যাস সীমিত করা ভাল।
পর্যাপ্ত আলোতে পড়াশুনা করা উচিত। একটানা কম্পিউটারে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হয়। এজন্য কিছুক্ষণ পর পর কিছু সময় বিরতির দিয়ে কাজ করা উচিত।
চোখের ত্রুটি : চোখের ত্রুটি চার প্রকার। হৃস্বদৃষ্টি, দীর্ঘদৃষ্টি, চালশে এবং বিষমদৃষ্টি। সঠিক পুষ্টি গ্রহণ, সঠিক জীবনধারণ পদ্ধতি অনুসরণ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবহার চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হৃস্বদৃষ্টি : এই ত্রুটি দেখা দিলে অবতল লেন্সের চশমা ব্যবহার করতে হয়।
দীর্ঘদৃষ্টি : এই ত্রুটি দেখা দিলে উত্তল লেন্সের চশমা ব্যবহার করা প্রয়োজন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions