কারক কাকে বলে
বাংলায় ‘কারক’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইংরেজি Case শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে বাংলায় এখন ‘কারক’ শব্দের ব্যবহার প্রচলিত আছে। বিখ্যাত সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির মতে ‘ক্রিয়ান্বয়ি কারকম্’-ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্তর্গত বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক থাকে, তা-ই হলো কারক।
কারক [কৃ +ণক (অক)] শব্দটির অর্থ ‘ক্রিয়া সম্পাদন করে যা’ কোনও একটি বাক্যে ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য বা সর্বনামের নানা প্রকার অন্বয় বা সম্পর্ক থাকতে পারে। ক্রিয়া সম্পাদন করতে হলে ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, কাল, উপকরণ প্রভৃতির প্রয়োজন হয়। সে-জন্য ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, কাল, উপকরণ প্রভৃতির সঙ্গে ক্রিয়াপদের যে সম্পর্ক তা-ই কারক।
আমরা এবার একটি বাক্যের দিকে একটু নজর দিই। ‘সোমা, তুমি কি তোমার বাগান থেকে কয়েকটি কাঁঠাল লোক দিয়ে (দ্বারা) মিতাকে শৈলকুপায় পাঠিয়ে দেবে?’- এই বাক্যে ‘দেবে’ ক্রিয়ার সাথে যে সব অন্বয় বা সম্পর্ক আছে তা হলো : (১) কে দেবে? ‘তুমি’, (২) কি দেবে? ‘কাঁঠাল’, (৩) কিসের সাহায্যে দেবে? ‘লোক দিয়ে’, (৪) কাকে দান করবে? ‘মিতাকে’, (৫) কোথা থেকে দেবে? ‘বাগান থেকে’, (৬) কোথায় দেবে? ‘শৈলকুপায়’, তাহলে ‘দেবে’ ক্রিয়ার সঙ্গে ‘তুমি; কাঁঠাল; লোক; মিতা; বাগান; শৈলকুপা; এই ছয়টি পদের এক এক রকম অন্বয় বা সম্পর্ক রয়েছে।
সুতরাং বলা যায় যে, কোন বাক্যে ক্রিয়া পদের সঙ্গে অন্য পদের যে অন্বয় বা সম্পর্ক থাকে তাকে কারক বলে।
কারক কয় প্রকার
কারকের প্রকারভেদ
ক্রিয়াপদ বা বাক্যের সাথে যে অন্বয় বা সম্পর্ক থাকে তাকে কারক বলে। এই সংজ্ঞা দ্বারা সম্বন্ধ ও সম্বোধন কারক হতে পারে। ক্রিয়ার সাথে অন্বয় বা সম্পর্ক ছয় প্রকার হতে পারে। তাই কারক-কে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়।
কারক ছয় প্রকার। যথা:
১) কর্তৃ কারক (Nominative Case)
২) কর্ম কারক (Accusative Case)
৩) করণ কারক (Instrumental Case)
৪) সম্প্রদান কারক (Dative Case)
৫) অপাদান কারক (Ablative Case)
৬) অধিকরণ কারক (Locative Case)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions