নিউক্লিয়াস কি
নিউক্লিয়াস
প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে অধিকতর ঘন, অপেক্ষাকৃত অস্বচ্ছ, পাতলা ঝিলস্নী দ্বারা পরিবেষ্টিত গোলাকৃতি অঙ্গানুকে নিউক্লিয়াস বলে। নিউক্লিয়াস কোষের সকল জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নিউক্লিয়াস আবার চারটি অংশ দ্বারা গঠিত হয়।
যথা-
নিউক্লিয়ার আবরণী
নিউক্লিয়াস একটি সূক্ষ্ম সজীব আবরণী দিয়ে সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক থাকে। এ আবরণীকে নিউক্লিয়ার আবরণী বলে। নিউক্লিয়ার আবরণীতে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র আছে, এদেরকে বলে নিউক্লিয়ার ছিদ্র, এর সাহায্যে নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
নিউক্লিওপ্লাজম
নিউক্লিয়াসের মধ্যস্থ ঘন জেলির মত পদার্থকে নিউক্লিওপ্লাজম বলে।
ক্রোমোজোম
নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে অবস্থিত সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় লম্বা বা প্যাঁচানো বস্তুকে ক্রোমোজোম বলে। ডি.এন.এ এবং আমিষ জাতীয় পদার্থ সহযোগে ক্রোমোজোম গঠিত। কোনো নির্দিষ্ট জীবের প্রত্যেক কোষে সমান সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে। ক্রোমোজোমে জীন থাকে, যার মাধ্যমে মা-বাবার বৈশিষ্ট্য সমত্মানদের মধ্যে স্থানামত্মরিত হয়। তাই ক্রোমোজোমকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলা হয়।
নিউক্লিওলাস
নিউক্লিয়াসের মধ্যে উপস্থিত সর্বাপেক্ষা ঘন, গোলাকৃতি বস্তুকে নিউক্লিওলাস বলে। এটি আমিষ জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি বলে ধারণা করা হয়।
কাজ : নিউক্লিয়াস কোষের সমস্ত জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। নিউক্লিয়াস ছাড়া কোনো কোষ বাঁচতে পারে না, এজন্য, একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions