রেডিও কে আবিষ্কার করেন
ইটালীর বিজ্ঞানী মার্কনী (১৮৭৪-১৯৩৭) সর্বপ্রথম রেডিও আবিষ্কার করেন। তবে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭) ও আলেকজান্ডার পপভ-ও (১৮৫৯-১৯০৬) প্রায় একই সময়ে বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন। শব্দ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বেতার তরঙ্গ চলাচলের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। বেতার তরঙ্গ আলোর বেগের সমান বেগে চলে। রেডিওতে শব্দ তরঙ্গকে বেতার তরঙ্গে রূপান্তরিত করে সঞ্চালিত করা হয়।
রেডিও ব্যবস্থার দুটো গুরুত্বপুর্ণ অংশ-একটি প্রেরণ ব্যবস্থা এবং অন্যটি গ্রহণ ব্যবস্থা। সাধারণত রেডিও বলতে আমরা গ্রাহক যন্ত্রকে বুঝে থাকি।
প্রেরক যন্ত্র : এ যন্ত্রে প্রথমে শব্দটিকে মাইক্রোফোনের সাহায্যে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। অতপর এ তড়িৎ শক্তিকে বিবর্ধিত করে উচ্চ কম্পাঙ্কের তড়িৎ এর সাথে মেশানো হয়। একে মডুলেশন (modulation) তরঙ্গ বলে। পরে এ তরঙ্গকে বিবর্ধিত করে এন্টেনার সাহায্যে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এটা চারিদিকে ৩×১০৮ মিটার/সে. বেগে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রাহক যন্ত্র : এ যন্ত্রে এরিয়াল বিকিরিত তরঙ্গের একটা অংশ গ্রহণ করে বিবর্ধকে পাঠায়। গৃহীত তরঙ্গের মধ্যে শব্দ ও বাহক তরঙ্গ থাকে। এ দুটোকে আলাদা করার জন্য বিশেষ যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। শব্দ তরঙ্গকে আলাদা করার পর বিবর্ধকের মধ্যে পাঠানো হয় এবং বিবর্ধিত শব্দ তরঙ্গকে সাউন্ড স্পিকারে পাঠানো হয়। স্পিকারে তড়িৎ তরঙ্গ শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত হয় এবং আমরা তা শুনতে পাই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions