Home » » শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

শর্করা জাতীয় খাবার গুলো হলো: চিনি, মধু, মিষ্টি ফল (আম, আঙ্গুর, কলা, কাঠাল, খেজুর ইত্যাদি), আখের রস, গুড়, খেজুরের রস, চাল, গম, ভুট্টা, আলু, কচু এবং দুধের শর্করা, প্রাণিদেহের যকৃত ও পেশিকোষের শর্করা।

শর্করার উৎস

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা প্রাণি এবং উদ্ভিদ উভয় ধরনের উৎস থেকেই পাওয়া যায়। উদ্ভিদ হতে প্রাপ্ত শর্করাগুলো হলো চিনি, মধু, মিষ্টি ফল (আম, আঙ্গুর, কলা, কাঠাল, খেজুর ইত্যাদি), আখের রস, গুড়, খেজুরের রস, চাল, গম, ভুট্টা, আলু, কচু ইত্যাদি। প্রাণি হতে প্রাপ্ত শর্করার ভালো উৎস হলো- দুধের শর্করা, প্রাণিদেহের যকৃত ও পেশিকোষের শর্করা।

শর্করার প্রকারভেদ

গঠন অনুসারে শর্করা তিন প্রকার যথা : এক শর্করা (মনোস্যাকারাইড), দ্বি-শর্করা (ডাইস্যাকারাইড) ও বহু শর্করা (পলিস্যাকারাইড)।

১। এক শর্করা : এক শর্করাগুলো হলো- গস্নুকোজ, ফ্রক্টোজ ও গ্যালাক্টোজ
ক) গুকোজ-চিনি, মিষ্টি ফল ইত্যাদি
খ) ফ্রুক্টোজ-মধু আঙ্গুর, বেদানা, আপেল, পাকা আম, পাকা কলা ইত্যাদি
গ) গ্যালাক্টোজ-দুধের শর্করা ল্যাক্টোজ ভেঙ্গে গ্যালাক্টোজ ও গ্লুকোজ পাওয়া যায়।

২। দ্বি-শর্করা : দ্বি-শর্করাগুলো হলো- সুক্রোজ, মলটোজ ও ল্যাক্টেজ
ক) সুক্রোজ-আখের চিনি, গুড়, খেজুর রস
খ) মলটোজ-চালের শর্করা (দু’টি গ্লুকোজের অণু একত্রে)
গ) ল্যাক্টোজ-দুধের শর্করা।

৩। বহু শর্করা : বহু শর্করাগুলো হলো- শে বতসার, গস্নাইকোজেন ও সেলুলোজ
ক) শে বতসার- চাল, গম, আলু, কচু
খ) সেলুলোজ- ফল ও শাক পাতার আঁশ, আঁশযুক্ত ফল, শস্যের খোসা
গ) গ্লাইকোজেন- প্রাণিদেহের যকৃত ও পেশিতে পাওয়া যায়।

শর্করার কাজ

১। দেহের প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন করা
২। শক্তি যোগান দেয়া
৩। প্রোট্রিনের অপচয় রোধ করা
৪। বিপাকীয় কাজে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করা
৫। সেলুলোজ নামক আঁশযুক্ত শর্করা দেহের অপাচ্য পদার্থ বের করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে।

শর্করার চাহিদা

পুষ্টিবিদগণের মতে মানুষের দৈনিক ক্যালরি চাহিদার ৫৫-৬০% কার্বোহাইডেট জাতীয় খাদ্য হতে নেয়া প্রয়োজন। পরিশ্রমভেদে এর তারতম্য হতে পারে। সাধারণভাবে বলা যায় যে, প্রতি কিলোগ্রাম দেহওজনের জন্য ৪-৬ গ্রাম শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। সে হিসেবে স্বাভাবিক ওজনের পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ন্যূনতম ৩০০ গ্রাম শর্করা জাতীয় খাদ্য আহার করা উচিত। যেহেতু ১ গ্রাম শর্করা হতে প্রায় ৪ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, তাই ৩০০ গ্রাম শর্করা হতে ১২০০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে।

শর্করার গঠন

শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট হলো-মানবদেহের কর্মশক্তি ও তাপশক্তির প্রধান উৎস। মানুষের প্রধান খাদ্য শর্করা। কার্বন (C) হাইড্রোজেন (H2) ও অক্সিজেন (O2) নিয়ে শর্করার যৌগ গঠিত হয়। এটি মিষ্টি স্বাদযুক্ত এবং গন্ধ ও বর্ণহীন।

অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণের কুফল

প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণে শর্করা গ্রহণ করলে তা দেহে মেদরূপে জমা হয়। পরিণামে স্থূলতা ও বহুমূত্র (ডায়াবেটিস) রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের আশংকা বাড়ে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *