সাধারণ জ্ঞান : বিজ্ঞান বিষয়ক
পারমাণবিক চুল্লি
যে যান্ত্রিক চুল্লির মাধ্যমে পারমানবিক বিক্রিয়ায় নিউট্রনকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তথা চেইন বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পারমানবিক শক্তি উৎপন্ন করা যায় তাকে পারমানবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্ট বলে। পরমাণু চুল্লী আবিষ্কার করেন এনারিকো ফার্মি। ফার্মির উদ্যোগে ১৯৪২ সালে প্রথম পরমাণু চুল্লী স্থাপিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে।
ফিশন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন নিউট্রনের চেইন বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শক্তিকে কাজে লাগানো হয়। এ চুল্লীতে ভারি পানি, গ্রাফাইট দন্ড প্রভৃতি ব্যবহার করে চেইন বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
পারমাণবিক চুল্লীতে সোডিয়াম, লেড ও বিসমাথের সংকর, পারদ ইত্যাদি ধাতুর ব্যবহার করা হয়।
♦ পারমাণবিক চুল্লিতে বোরন এবং ক্যাডমিয়াম দন্ডের কাজ:
পারমাণবিক চুল্লীতে বোরন বা ক্যাডমিয়াম দন্ডের কাজ হলো চেইন বিক্রিয়া সংঘটনকারী নিউট্রন কণা শোষণ করা।
♦মন্থরক
ক্রমবর্ধমান ফিশনের হারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে গ্রাফাইট খন্ড দিয়ে পারমাণবিক চুল্লির মজ্জা তৈরি হয় তাকে মন্থরক বলে।মন্থরক নিউট্রনকে ধীরগতি করে। ভারী পানি, গ্রাফাইট প্রভৃতি মন্থরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
♦ শৃঙ্খল বিক্রিয়া
নিউট্রন দ্বারা ভারি পামাণুর (পারমাণবিক সংখ্যা ৮০ এর উপরে) নিউক্লিয়াসকে আঘাত করলে কয়েকটি নিউট্রনের উৎপত্তি হয়। এদের গৌণ নিউট্রন বলে। এরা প্রত্যেকে আরও নিউক্লিয়াসকে আঘাত করে এবং আরও নিউট্রন উৎপন্ন করে। এভাবে পরমাণুর ফিশন সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে থাকে এবং পর্যায়ক্রমে শৃঙ্খলের মত এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এ ধরনের ফিশন বিক্রিয়াকে শৃঙ্খল বিক্রিয়া বলে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions