ভোল্টমিটার কি
ভোল্টমিটার (Voltmeter)
যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর যেকোনো দু’বিন্দুর মধ্যকার বিভব পার্থক্য সরাসরি ভোল্ট এককে পরিমাপ করা হয়, তাকে ভোল্টমিটার বলে। এটিও প্রকৃতপক্ষে একটি বিশেষ ধরনের গ্যালভানোমিটার। একে বর্তনীতে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করতে হয়।
গঠন: গ্যালভানোমিটার G এর সাথে একটি উচ্চ মানের রোধ R শ্রেণী সমবায়ে যুক্ত করে ভোল্টমিটার গঠন করা হয় । অ্যামমিটারের ন্যায় কুন্ডলীটি একটি স্থায়ী চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপিত থাকে। কুন্ডলী তলের সমকোণে একটি সূচক P লাগানো থাকে। বিভব পার্থক্যের জন্য সৃষ্ট তড়িৎ প্রবাহের কারণে কুন্ডলীর ঘুর্ণনের সাথে দাগ কাটা হয়ে থাকে। সাধারণ অবস্থায় কাঁটাটি স্কেলের শূন্য দাগের উপর থাকে। কিন্তু কোনো বিভব প্রভেদ পরিমাপের সময় বিভব পার্থক্য অনুযায়ী কাঁটাটি বিক্ষিপ্ত হয়।
কার্যনীতি: গ্যালভানোমিটার কুন্ডলীর সাথে শ্রেণী সমবায়ে একটি উচ্চ মানের রোধ থাকে বলে যন্ত্রটির অভ্যন্তরীণ রোধ খুব বেশি হয়। বর্তনীর যে বিন্দুদ্বয়ের মধ্যে বিভব পার্থক্য পরিমাপ করতে হবে তাদের মধ্যকার রোধ ভোল্টমিটারের রোধের তুলনায় অনেক কম হওয়া প্রয়োজন। এর ফলে, ভোল্টমিটারটি উক্ত সংযোগ বিন্দুদ্বয়ের সমান্তরালে যুক্ত করলেও বিন্দুদ্বয়ের মধ্য দিয়ে চালিত মূল প্রবাহের কোনো তারতম্য ঘটে না। যন্ত্রটি সর্বোচ্চ কত পরিমাণ বিভব পার্থক্য পরিমাপ করতে পারবে তা R এর উপর নির্ভর করে।
ধরা যাক, গ্যালভানোমিটারের কুন্ডলী তারের রোধ G, এটি যে সর্বাধিক প্রবাহ নিতে পারে তার পরিমাণ Ig ; এ প্রবাহের জন্য সূচক কাঁটার বিক্ষেপ পুরো স্কেল হয়। এখন, ধরা যাক, G এর সাথে R মানের এমন একটি উচ্চ রোধ শ্রেণী সমবায়ে যুক্ত করা হলো যার ফলে সংযোগ বিন্দুদ্বয়ের মধ্যে বিভব পার্থক্য V হলে G এর মধ্য দিয়ে প্রবাহ হয় Ig। স্কেল এমনভাবে তৈরী করা হয় যাতে সূচকের সর্বাধিক বিক্ষেপ V বিভব পার্থক্য নির্দেশ করে। স্কেল থেকে সর্বদা সংযোগ বিন্দুদ্বয়ের মধ্যকার বিভব পার্থক্যের পাঠ পওয়া যাবে। বিভব পার্থক্য কমলে বিক্ষেপও কম হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions