Home » » শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ও বড়ু চন্ডীদাস

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ও বড়ু চন্ডীদাস

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ও বড়ু চন্ডীদাস 

প্রশ্ন: মধ্যযুগের আদি কবি কে? 

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়চণ্ডীদাস। তিনি চর্তুদশ শতাব্দীর কবি ছিলেন। 


প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কয়টি খণ্ড রয়েছে? 

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য । রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা নিয়ে রচিত এ কাব্যে মোট ১৩টি খন্ড রয়েছে। 


প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য কোনটি?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। 


প্রশ্ন: কোন একক কবির রচনা হিসাবে বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য কোনটি? 

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। 


প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কবির নাম কী? 

উত্তর: বড়চণ্ডীদাস। এটি তার ছদ্ম নাম । তার প্রকৃত নাম অনন্ত বড়ুয়া। 


প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে, কোথা থেকে, কবে আবিষ্কার করেন? 

উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁথিশালার অধ্যক্ষ বসন্তরঞ্জন রায় বাঁকুড়া জেলার কাকিলা গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক গৃহস্থের গোয়াল ঘরের টিনের চালার নিচ

থেকে অরক্ষিত অবস্থায় আবিষ্কার করেন। 


প্রশ্ন: 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য কত সালে, কোথা থেকে প্রকাশিত হয়? 

উত্তরঃ ১৯১৬ সালে কলকতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।


প্রশ্ন: বসন্তরঞ্জন রায়ের উপাধি কী? 

উত্তর: বিদ্বদ্বলভ। 


প্রশ্ন: বড় চণ্ডীদাস কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? 

উত্তর: বাঁকুড়া জেলার ছাতনার নানুর গ্রামে ১৩৯০ সালে।


প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে মোট কতটি খণ্ড রয়েছে? 

উত্তর: ১৩টি । খণ্ডগুলো হল- ১. জন্ম খণ্ড, ২. তাম্বুল খণ্ড, ৩. সান খণ্ড, ৪. নৌকা খণ্ড, ৫. ছত্র খণ্ড, ৬. ভার খণ্ড, ৭. বৃন্দাবন খণ্ড, ৮. কালিয়দমন খণ্ড, ৯. যমুনা খণ্ড, ১০. হার খণ্ড, ১১. বাণ খণ্ড, ১২. বংশী খণ্ড ও ১৩. রাধাবিরহ খণ্ড । 


প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন। 

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে খণ্ডিত পদ সহ মোট পদের সংখ্যা ৪১৮টি। পুঁথিতে সংস্কৃত শোক আছে ১৬১টি। পুঁথিতে পাতার সংখ্যা ২২৬, অতত্রব পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৫২; এর মধ্যে মাঝের মোট ৪৫ পৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি। ৪৫ পৃষ্ঠা বাদ গেলে পুঁথির প্রাপ্ত পৃষ্ঠার সংখ্যা ৪০৭। পুঁথির লিপি তিন হাতের লেখা। ৪১৮টি পদের মধ্যে কবির ভনিতা আছে ৪০৯টি। 


প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান চরিত্র কয়টি ও কী কী? 

উত্তরঃ তিনটি। যথা-১. রাধা, ২. কৃষঃ ও ৩. বড়াই । রাধা হলেন মানবাত্মার প্রতীক। এ মানবাত্মা পরমাত্মাকে পাবার জন্যে সারাক্ষণ ব্যাকুল থাকে। (কিন্তু বড়চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে রাধা হলেন সংসার অনভিজ্ঞ বৃঢ় সত্যভাষিনী অল্পবয়সী অশিক্ষিত গোপ বালিকা)


প্রশ্ন: কৃষের পরিচয় প্রদান করুন। 

উত্তর: বিষ্ণু কৃষরূপে বসুদেবের পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন এবং বৃন্দাবনের নৃন্দের গৃহে স্থানান্তরিত হন। পৌরাণিক কাহিনী মতে কৃষ্ণ হলেন পরমাত্মা বা সৃষ্টিকর্তার প্রতীক। যাকে পাবার জন্য মানবকূল ব্যাকুল থাকে। কিন্তু বড়চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কৃষ্ণ হলেন রক্তমাংসের এক যুবক। যার মধ্যে আছে প্রেম, আবার দৈহিক কামনা বাসনা চরিতার্থ করার আকাঙ্গা। 


প্রশ্নঃ বড়াই' চরিত্রটির পরিচয় প্রদান করুন।  

উত্তর: বড়াই হলেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের তৃতীয় চরিত্র। তিনি সম্পর্কে রাধার স্বামী আয়েন ঘোষের পিসীমা। এই পিসীমার উপর দায়িত্ব পড়ে রাধার দেখা-শোনার । কিন্তু পরবর্তীতে এই পিসীমা বড়াই রাধা-কৃষ্ণের প্রেম সম্পর্ক সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এ কাব্যে বড়াই হলেন রাধা কৃষ্ণের প্রেমের দূতী বা অনুঘটক।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *