গান-কটন উদ্ভাবনের ইতিহাস
গান কটন (১৮৪৬) -ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্কোয়েনবিন
গান-কটন: ১৮৩২ সালে নাইট্রিক অ্যাসিড ও চিনির বিক্রিয়ায় বিস্ফোরক পদার্থ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই নাইট্রিক অ্যাসিড নিয়ে গবেষণা বেড়ে যায়। ১৮৪৬ সাল। সুইজারল্যাণ্ডের ব্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ্যার অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্কোয়েনবিন তাঁর গবেষণাগারে গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড ও গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে উত্তপ্ত করে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন নতুন কোনো কিছু আবিষ্কার করা যায় কিনা। পরীক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎ কিছুটা গরম অ্যাসিড মাটিতে পড়ে যায়। তিনি তখনই কিছুটা সুতির কাপড় দিয়ে অ্যাসিডটি মুছে ফেলতে যান। গরম অ্যাসিডে কাপড় লাগতেই সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। তিনি এরপর কিছুটা তুলো আর কাগজে ঐ মিশ্রণে আলাদা আলাদা ভাবে মিশিয়ে দেখেন দুবারই আগের মত বিস্ফোরণ হল। তখন তিনি বুঝতে পারলেন সেলুলোজের সঙ্গে নাইট্রিক ও সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া ঘটলেই একটি বিস্ফোরক পদার্থ তৈরী হয়। এই নতুন পদার্থটির নাম তিনি দেন গান কটন। নাইট্রিক অ্যাসিড ও সেলুলোজ এই পদার্থটির মধ্যে থাকায় পদার্থের আরেকটি নাম নাইট্রো সেলুলোজও দেওয়া হয়। নাইট্রো-সেলুলোজের সাথে নাইট্রোগ্লিসারিন মিশিয়ে আলফ্রেড বারনার্ড নোবেল তৈরী করেছিলেন ব্লাস্টিং জিলাটিন ডিনামাইট।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions