কার্বলিক এসিড আবিষ্কারের ইতিহাস
কার্বলিক অ্যাসিড (১৮৬৮)
-জোসেফ লিস্টার
উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বেশীরভাগ রোগীই অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত বিষিয়ে যাওয়ায় মারা যেত। আবার চিকিৎসকের হাত ও পোপাশাক সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না হওয়ায় সেই ক্ষতের জীবাণু চিকিৎসকের মাধ্যমে অন্য রোগীর দেহেও ছড়িয়ে পড়ত। পাস্তুরই প্রথম বলেছিলেন বাতাসে বিভিন্ন জীবাণু ঘুরে বেড়ায়। এই জীবাণুই ক্ষতে পচন ধরায় এবং বংশবিস্তার করে সেখান থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। | জোসেফ লিস্টার ছিলেন গ্লাসগো হসপিটালের অস্ত্রচিকিৎসক। তিনি পাস্তুরের কথাকেই প্রমাণ করে দেখালেন যে ক্ষতস্থান জীবাণু থেকেই বিষাক্ত হয়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে এই জীবাণু সংক্রমণ ঘটে না। অনেক পরীক্ষার পর তিনি দেখলেন কার্বলিক অ্যাসিডই সবচেয়ে ভালােভাবে জীবাণুকে নষ্ট করতে পারে। এটি ক্ষতে যেমন সরাসরি দেওয়া যায়, তেমনি স্প্রে করে বাতাসেও ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এই অ্যাসিডে মানবদেহে কোনো ক্ষতিও হয়।
তিনি গরমজলে কার্বলিক অ্যাসিড সহযোগে অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার কথাও বলেন। ডাক্তার ও নার্সদের নাকে ওষুধ দেওয়া পাতলা কাপড় বেঁধে নেওয়ার ব্যবস্থাও করেন। ফলে হাসপাতালে ক্ষত বিষাক্ত হয়ে রোগী মারা যাওয়ার সংখ্যাও অনেক কমে যায়। ১৮৬৮ সালে জোসেফ লিস্টার আবিষ্কৃত কার্বলিক অ্যাসিড প্রথম ব্যবহৃত হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions