Home » » বেলুন আবিষ্কার হয় যেভাবে!

বেলুন আবিষ্কার হয় যেভাবে!

বেলুন আবিষ্কার হয় যেভাবে!

বেলুন (১৭৮৩) -রোজিয়ার, আরল্যাণ্ডিস

বেলুন তৈরীর চিন্তা প্রথম মাথায় আসে ফরাসী দেশের দুই ভাইয়ের। তারা জানতো গরম বাতাস ঠাণ্ডা বাতাসের চেয়ে হাল্কা। তাই ১৭৮৩ সালে ৯ জুন কাগজের তৈরী বড় থলে তৈরী করে খটকুটো জ্বালিয়ে তার মধ্যে গরম ধোঁয়া পুরে দিল আর বেলুনের নীচে একটা ঝুড়ি বেঁধে সেই ঝুড়ির মধ্যে বসিয়ে দিল একটি ভেড়া, একটি মোরগ ও একটি হাঁস। গরম ধোঁয়া বাতাসের চেয়ে হাল্কা বলে বেলুনটা ওপরে উঠে গেল আবার কিছুক্ষণ উড়ে যাওয়ার পর ধোঁয়া ঠাণ্ডা হয়ে যেতে থাকায় বেলুন নীচে নেমে এল।

১৭৮৩ সালে ২১ নভেম্বর দুজন ফরাসী যুবক রোজিয়ার ও অরল্যাণ্ডিস | বেশ বড় লিনেন অস্তর দেওয়া কাগজের ব্যাগের সঙ্গে একটা বাক্স ঝুলিয়ে দিয়ে সেই বাক্সের মধ্যে তাঁরা উঠে বসলেন। বাক্সের মধ্যে ছিল মুখ খোলা বড় একটা স্টোভ। কাগজের ব্যাগটি ছিল ছিল ৫৮ ফুট চওড়া। কাগজের বাক্সে গরম বাতাস পুরে দিতেই সেটা বাক্সশুদ্ধ দুই ফরাসী যুবককে নিয়ে উড়ে চলল আকাশে। এঁরা হলেন সর্বপ্রথম আকাশে বিচরণকারী মানুষ। বেলুনে চড়ে আকাশে ৫০০ ফুট ভ্রমণ করেছিলেন তারা।

১৮১১ সালেরও পরে বিজ্ঞানী চার্লস বেলুন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখলেন গরম বাতাস পুরে বেলুন ওড়াবার খুব অসুবিধা। ধোঁয়াকে গরম রাখার জন্য বেলুনের নীচে স্টোভ বেঁধে দিতে হয়। তাতেও বেলুন বেশী দূর যেতে পারে না। এজন্য তিনি গরম ধোঁয়ার বদলে বাতাসের চেয়ে হাল্কা | হাইড্রোজেন গ্যাস ভরে বেলুন ওড়াবার কথা ভাবলেন।

বিজ্ঞানী চার্লস ৩৫ ফুট চওড়া এক বেলুন বানিয়ে তাতে হাইড্রোজেন গ্যাস পুরে আকাশে ছেড়ে দিয়েছিলেন! বেলুনটি প্রায় তিন হাজার ফুট ওপরে উঠে কোথায় গেছিল কেউ বলতে পারল না। পরদিন বেলুনটা গিয়ে পড়ল একটা অখ্যাত গ্রামের মাঠে। গাঁয়ের লোকেরা ভাবল ওটা বুঝি বিরাট জানোয়ার। সাহসী গ্রামবাসীরা দূর থেকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে বর্শা বিধিয়ে বিকট বস্তুটাকে জর্জরিত করে ফেলল। তারপর কাছে গিয়ে দেখল সেটা কোনো জানোয়ার নয়—কেবল একটা বেলুন। বিজ্ঞানী চার্লসই কাগজের এই থলের নাম দিয়েছিলেন বেলুন। হাইড্রোজেন গাসের বেলুন ওপরে উঠলে বাতাসের গতি অনুযায়ী চলত। ইচ্ছামত চালানো যেত না।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *