জৈব রসায়ন কাকে বলে / Organic chemistry
জৈব রসায়ন
রসায়নের যে শাখায় কার্বনযৌগসমূহ ও তাদের বিক্রিয়া, ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় সেটিই হলো জৈব রসায়ন। জৈব রসায়নের পরিধি অতি বিস্তৃত। ঔষধপত্র, ভিটামিন (vitamins), প্লাস্টিক (plastics), সুতা ও সুতিদ্রব্য (fibers and fabrics) শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট (carbohydrates), আমিষ বা প্রোটিন (proteins), স্নেহজাতীয় দ্রব্য (fats) এগুলো সবই জৈব অণু দিয়ে গঠিত। জৈব রসায়নবিদ জৈব অণুর গঠন (structure) নির্ণয় করেন, এসব অণুর বিক্রিয়া কিভাবে ঘটে তা লক্ষ করেন এবং নতুন জৈব যৌগ তৈরির পন্থা উদ্ভাবন করেন। বিংশ শতাব্দীতে জৈব রসায়ন আমাদের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
জৈব যৌগ সম্বন্ধে আধুনিক ধারণা হচ্ছে এগুলোতে প্রধানত কার্বন রয়েছে এবং কার্বনের সাথে আরো রয়েছে এক বা একাধিক অন্য মৌল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ভিন্ন মৌলগুলো হয় হাইড্রোজেন, নতুবা অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সালফার কিংবা হ্যালোজেন (halogens)। যে দুই মূলনীতির উপর জৈব রসায়ন গড়ে উঠেছে তা হচ্ছে কার্বনের নিজের সাথে বন্ধন গঠনের ক্ষমতা (catenation) এবং জৈব যৌগে এর যোজ্যতা (valency) ৪ এ স্থির। থাকা। কার্বনের এই বিশেষত্ব অসংখ্য জৈব যৌগ সৃষ্টির কারণ (১৯৮০ তে নিবন্ধিত ৫০ লক্ষ রাসায়নিক যৌগের ৮৯৫ ভাগই ১৮২৮ সালে জার্মান রসায়নবিদ Friedrich Wohler ল্যাবরেটরিতে অজৈব যৌগ অ্যামোনিয়াম সায়ানেটকে জৈব যৌগ ইউরিয়াতে পরিণত করেন :
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions