Home » » ডিম্বানু কি

ডিম্বানু কি

Ovum / ডিম্বাণু

ডিম্বানু কি?

ডিম্বাণু বা স্ত্রী-জননকোষ। সত্যিকার অর্থে এটি নিষিক্ত হওয়ার সময়কার জননকোষকে বুঝায়। তবে অনেক সময় এটি এর আগেকার এবং পরের অবস্থাকেও বুঝায়। এ ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য চলনসই বিশেষণ যেমন, অপরিণত, পক্ক, পরিণত, নিষিক্ত কিংবা বর্ধনশীল ডিম্বাণু ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়। পরিণত ডিম্বাণু সাধারণত গোলাকার এবং আকারে বড় হয়। একবারে তৈরি ডিম্বাণুর সংখ্যা বিভিন্ন প্রাণীতে ভিন্ন সংখ্যক হয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক সামুদ্রিক প্রাণীতে তা লক্ষ লক্ষ হতে পারে যা এর চারপাশের পানিতে ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর বেলায় তা ডজনখানেক বা এর চেয়ে কম সংখ্যক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাড়তে থাকা প্রাণের অভ্যন্তরীণ পুষ্টিসংগ্রহ এবং শিশু শাবকের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট উন্নতমানের।

ডিম্বকোষের অপরিণত ডিম্বাণু ফলিকল কোষের সাথে সম্পর্কিত বর্ধনের রসদ সংগ্রহ করে। স্তন্যপায়ী প্রাণীতে ডিম পরিণত হওয়ার সময় এই কোষগুলো নিজেদের একটি বিশেষ আকারে সাজিয়ে নেয় যা graafian বা থলিকা (vesicular) বা ফলিকল নামে পরিচিত। এটি মূলত একটি বিবর যা কয়েক সারি কোষস্তরে ঘেরা থাকে। একটি ফলিকল কোষস্তর থেকে উদ্ভব হয়ে এর অভ্যন্তরীণ প্রাচীর গঠিত হয় : এখানকার রসের মধ্যে স্ত্রী-জনন হরমোন—এস্ট্রোজেন থাকে। এই নিঃসরণ ফলিকুলীয় প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্তর থেকে বের হয়।

কুসুম (yolk) বা ডিয়োটোপ্লাজম (deutoplasm) সত্যিকার অর্থে ডিমের সংরক্ষিত খাদ্য যা ছোট্ট বলয়াকারে সব ধরনের ডিমে কমবেশি বিদ্যমান থাকে। কুসুমের পরিমাণ ডিমের আকারের উপর মূলত নির্ভরশীল। কুসুমের বিস্তৃতির উপর ভিত্তি করে ডিমের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। প্রায় সব ছোট ডিমের বেলায় যেমন, isolecithal ধরনের ডিমের কুসুম সমভাবে সাইটোপ্লাজমে বিস্তৃত থাকে। Telolecithal ডিমের বেলায় তা এক মেরুর দিকে ঘনীভূত হয়, যেমনটি দেখা যায় মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ এবং পাখিদের বড় ডিমের বেলায়। কীটপতঙ্গ বা সেফালোপড মোলাস্কাএর (cephalopod mollusks) বেলায় তা centrolecithal অর্থাৎ কুসুম কেন্দ্রে সীমিত থাকে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *