ডিম সিদ্ধ করার পদ্ধতি : ডিম অক্ষত থাকবে ফেটে যাবে না
ডিম সিদ্ধ করার নিয়ম
সেদ্ধ করতে গিয়ে ডিম ফেটে গেছে, ভেতরে পানি ঢুকেছে, ডিমের আঁকাবাঁকা রেখা ডেগচিতে ছড়িয়ে পড়েছে এমন ঘটনা দেখতে কার ভাল লাগে। তাই ওটা নিয়েই শুরু করা যাক। ডিমের খোলসের ভেতরটা পুরো তরল পদার্থে ভর্তি নয়—এর মধ্যে খানিকটা জায়গা জুড়ে থাকে বাতাস, ডিমের যে প্রাপ্ত বড় সেখানে অতি ক্ষুদ্র কিছু ছিদ্র খোলসের মধ্যে থাকে। সেদ্ধ করার সময় বাতাস গরম হয়ে এর চাপ বাড়লে ঐ ছিদ্রের মধ্য দিয়ে তা বের হয়ে যায়। কিন্তু অতি তাড়াতাড়ি গরম করতে গিয়ে বাতাস দ্রুত এত ক্ষুদ্র ছিদ্রের মধ্য দিয়ে বের হয়ে সেরে উঠতে পারে না। তখন তার চাপে খোলস ফাটে, পানি ঢুকে, নরম ডিম বের হয়ে আসে। সেদ্ধ করার ঠিক আগে খোলসের বড় প্রান্তে পিন দিয়ে যদি একটি ছিদ্র করে দেওয়া হয় তা হলে ওটা দিয়েই বাতাস বেরিয়ে যেতে দেখা যাবে। ফাটা বন্ধ করার এটি একটি উপায়।
ফ্রিজ থেকে বের করা খুব ঠাণ্ডা ডিম হঠাৎ গরম পানিতে পড়লেও খোলস ফেটে যেতে পারে। ঠাণ্ডা ডিম সাধারণত পানিতে ডুবিয়ে স্বাভাবিক উত্তাপে নিয়ে আসলে এটা হবে না। সেদ্ধ করার সময় পানিতে একটু লবণ ছিটিয়ে দিন। এটি অবশ্য ফাটা ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু ফাটার পর ফাটল বন্ধ করতে সাহায্য করবে। তরল ডিম। লবণ পানির সংস্পর্শে আসা মাত্র তাড়াতাড়ি জমে গিয়ে ফাটল বন্ধ করে দেবে। পানি ঢোকার অথবা ডিম বের হয়ে আসার সম্ভাবনা কমে যাবে।
ডিমের কুসুমে আস্তরণ সেদ্ধ করা ডিম পাতে আসলো। ভেঙে দেখা গেল কুসুমের গায়ে বিশ্রী সবুজ-ছাই রঙের আস্তরণ। ডিমের প্রতি আপনার আকর্ষণটাই নষ্ট হয়ে গেল। একটু সাবধান হলেই এটি এড়ানো যেত।
ডিম গরম হবার সময় হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস তৈরি হয়। পরে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হবার সময় এই গ্যাসের সঙ্গে ডিমের কুসুমে থাকা আয়রনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। হাইড্রোজেন সালফাইডের হাইড্রোজেন চলে যায়, সালফারটুকু আয়রনের সঙ্গে কালচে আয়রন সালফাইড গঠন করে কুসুমের সঙ্গে লেগে থাকে। তাই সেদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা করে নিলে ঐ আস্তরণ জমতে পারে না—ডিমের কুসুম থাকে সুন্দর হলদে রঙের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions