কারক নির্ণয়ের সূত্র
কারক নির্ণয়ের সহজ নিয়মাবলি / সূত্র :
১. কর্তৃকারক : বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্তৃকারক পাওয়া যায়। যেমন: সবিতা গান গায়। কে গান গায়? উত্তর হবে ‘সবিতা'। এখানে সবিতা কর্তৃকারকের উদাহরণ।
২. কর্মকারক : বাক্যে অবস্থিত ক্রিয়াপদকে ‘কী’ বা ‘কাকে' দ্বারা প্রশ্ন করলে কর্মকারক পাওয়া যায়। যেমন:
ক) সে ভাত খায়। এখানে ‘ভাত’ কর্মকারকের উদাহরণ। কারণ কী দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর ‘ভাত পাওয়া যায়। আবার,
খ) বাবা আমাকে একটি কলম দিয়ে দিলো। এখানে, যদি প্রশ্ন করি, ‘কাকে’ দিলো। তাহলে উত্তরে আমাকে পাওয়া যায়। সুতরাং এখানে আমাকে কর্মকারক।
৩. করণকারক : কীসের দ্বারা কর্তা কাজ করে প্রশ্ন করলে করণকারক পাওয়া যায়। যেমন: টাকায় টাকা হয়। এখানে যদি প্রশ্ন করি কীসের দ্বারা টাকা হয়, তাহলে উত্তর হবে টাকার দ্বারা। সুতরাং, ‘টাকা এখানে করণকারকের উদাহরণ।
৪. সম্প্রদান কারক : স্বত্বত্যাগ করে কর্তা যদি কারোর জন্য কিছু করে তবে যার জন্য করে, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। অর্থাৎ, “কার জন্য করে প্রশ্ন করলে সম্প্রদান কারক পাওয়া যায়। যেমন: ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। এখানে, ভিক্ষা দেওয়ার কাজটি করা হয়েছে ভিখারির জন্য। সুতরাং ভিখারি এখানে সম্প্রদান কারক।
৫. অপাদান কারক : “কোথা থেকে কাজটি হচ্ছে প্রশ্ন করলে অপাদান কারক পাওয়া যায়। যেমন: ছাদ থেকে পানি পড়ে। যদি বলি “কোথা থেকে পানি পড়ে, তাহলে ‘ছাদ’ উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘ছাদ’ এখানে অপাদান কারক।
৬. অধিকরণ কারক : কোথায় বা কখন হচ্ছে” প্রশ্ন দ্বারা অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। যেমন: বনে বাঘ আছে। যদি বলি বাঘ কোথায় আছে, তাহলে ‘বনে উত্তর পাওয়া যায়।
আবার, মাঘ মাসে প্রচণ্ড শীত হয়। এখানে, যদি বলি কখন প্রচণ্ড শীত হয়, তাহলে “মাঘ মাস” উত্তর পাওয়া যায়। সুতরাং ‘বনে’ ও ‘মাঘ মাস এখানে অধিকরণ কারক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions