সম্বোধন পদ কাকে বলে
আহ্বান বা সম্ভাষণ করে কিছু বলা হলে সেই উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সম্বোধন পদ বলে।
এই যে করিম, তুমি কোথায় যাচ্ছ। এই বাক্যের বক্তা করিম নামক জনৈক মানুষকে সম্বোধন করছে। সেজন্য করিম সম্বোধন পদ। এই যে, অব্যয় জাতীয় শব্দ। এ জাতীয় বহু সম্বোধন সূচক অব্যয় শব্দ সম্বোধন পদের আগে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
ওহে বাপু, কী করছ?
হে মানুষ, নিজের কথা ভাবো!
ওগো বন্ধু, কেমন আছো?
ওরে দুষ্টু, তোর মনে এই ছিল?
কী রে ভাই, আমার কথা একেবারে ভুলে গেলে!
বাংলা ভাষায় একসময় সম্বোধন পদের আগে অয়ি, অরে, আলো, ওলো, গো, লো, হাঁগো, হঁাগা, হ্যাদে ইত্যাদি প্রাচীন। অব্যয়গুলো ব্যবহৃত হতো। কিন্তু আধুনিক বাংলা ভাষায় এগুলোর ব্যবহার বেশ কমে এসেছে। সম্বোধনের উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে উহ্য রেখে শুধু অব্যয় ব্যবহার করেও সম্বোধন বাক্য তৈরি করা যায়। যেমন-
কী, তুমি যাবে?
কী রে, কোথায় ছিলি এতক্ষণ?
এই, তুই কিন্তু দেরি করবি না।
কই, আমার কথা শুনছ?
হ্যাঁরে, তোদের এখানে কি কোন ভালো মানুষ নেই?
সম্বোধন সূচক অব্যয় বাদ দিয়ে শুধু সম্বোধন পদ দিয়ে বাক্য রচনা আধুনিক বাংলা রীতি। যেমন-
আপা, আমাকে ছুটি দিন।
ভাই, কেমন আছো, তোমাকে বহুদিন দেখিনি
রশিদ, তুমি তো আমার কোনো কথা শোন না।
স্যার, একটা কথা শুনবেন।
খোদা, তার দিলে রহম দাও।
তৎসম শব্দে সম্বোধন পদে পরিবর্তন হয়; কিন্তু আধুনিক বাংলায় এ রকম ব্যবহার রীতিসিদ্ধ নয়। যেমন-হে মাতা, সন্তানকে ভুলে গেলি।
সম্বোধন পদ বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত নয়। সেজন্য সম্বোধন পদও কারক নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions