কারবালার যুদ্ধ
উবায়দুল্লাহর সৈন্যের হাতে বন্দি হয়ে ইমাম হুসাইন (রা.), তার বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের পালিয়ে যেতে বললেন। কিন্তু তারা কেউই তাকে ছেড়ে যেতে রাজি হলো না।
অবশেষে ৬৮০ খ্রি: ১০ অক্টোবর মাসে অসহায় তৃষ্ণার্ত নারী শিশুর ক্রন্দনকে তুচ্ছ করে দুটি অসম-দলের মাঝে যুদ্ধ শুরু হলো। ইমাম হুসাইন (রা.) তার ক্ষুদ্র কাফিলা নিয়ে শত্রুপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়লেন। কিন্তু শত্রুপক্ষ ছিলো তাদের চেয়েও সংখ্যায় বহুগুণ বেশি। একে একে সকলেই শাহাদাত বরণ করতে লাগলেন ইমাম হাসান (রা.) এর পুত্র কাসিম, হুসাইন (রা.) এর পুত্র যয়নুল আবিদীন, শিশুপুত্র আসগরসহ পরিবারের সকল পুরুষ সদস্যকে হত্যা করা হলো।
অবশেষে শত্রুর মোকাবেলা করতে করতে এক পর্যায়ে ইমাম হুসাইন (রা.) ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে তার তাবুর নিকট বসে পড়লেন। জনৈক মহিলা তার হস্তে এক পেয়ালা পানি তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু পানি পান করার সময় তিনি শিরবিদ্ধ হলেন এবং শেষবারের মতো শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পড়েন। একসময় অধিক রক্তপাতে জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যুর কোলে শায়িত হলেন। ঘাতক শীমার ইমাম হুসাইনের মস্তক ছিন্ন করলো ও তার দেহ পদদলিত করে বর্বরতা প্রদর্শন করলো।
এভাবে ইসলামের ইতিহাসের করুণতম অধ্যায় রচিত হল কারবালার প্রান্তরে। একমাত্র হুসাইনের রুগ্নপুত্র জয়নুল আবেদীন ছাড়া সকলেই শাহাদাত বরণ করলেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions