বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশ
মানুষের সামাজিক কার্যাবলির সমষ্টিগত ফলাফল যা মানুষের দ্বারা সৃষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত, তাই হলো সামাজিক পরিবেশ। এ পরিবেশের উপাদানগুলো হলো জাতি, ধর্ম, সরকার, জনসংখ্যা, শিক্ষাও প্রযুক্তি প্রভৃতি।
জাতি : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতির লোক বাস করে। পরিবেশের উপর এদের মানসিকতা, চরিত্র, শারীরিক শক্তি প্রভাব বিস্তার করে।
ধর্ম : ধর্ম সামাজিক পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করে। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। যেমন সুদমুক্ত ব্যাংক ব্যবস্থা।
জনসংখ্যা : ১৯০১ সালে বাংলাদেশ এলাকায় জনসংখ্যা ছিলো ২.৮৯ কোটি, ১৯৫১ সালে ৪.৪১ কোটি, ২০০১ সালে ১৩.০ কোটি। ২০১৫-১৬ (সাময়িক প্রাক্কলন) ১৫.৯৯ কোটি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ১০৬৩ জন। কোনো দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি, কৃষি, শিল্প, খনিজ প্রভৃতি ক্ষেত্রের উন্নতি সাধনে জনবসতি বিশেষ সহায়তা করে। যেমন : বিরল জনবসতির জন্য অস্ট্রেলিয়া পশুচারণভূমি কিন্তু ঘন জনবসতির ফলে যুক্তরাজ্য ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পে যথেষ্ট উন্নত।
এছাড়া সরকারের শিল্পনীতি, বাণিজ্যনীতি, দক্ষ মানব সম্পদ, কারিগরি শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা এসব উপাদান সামাজিক পরিবেশকে প্রভাবিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।
জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ বাংলাদেশে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতোই পরিবেশগত উন্নয়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিকে উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সমন্বিত করার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যাসমূহ মোকাবেলা করে দূষণমুক্ত সুস্থ পরিবেশ ও পরিবেশবান্ধব প্রতিবেশ গড়ে তুলতে বিভিন্ন নীতি এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন (MDGs) (লক্ষ্য-৭) এর আওতায় নিরাপদ সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও অভিযোজন কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions