Home » » চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা

চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা

চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা

শূন্য আবেদনপত্র আবেদনকারীদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহের একটি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে মোটামুটিভাবে দ্রুত ও রীতিবদ্ধভাবে আবেদনকারী সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রার্থীর যোগ্যতা সম্বন্ধে একটি সাধারণ জ্ঞান লাভ করা যায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব শূন্য আবেদন পত্র তৈরি করে। এতে বিষয়বস্তুগুলো এমনভাবে সাজানো হয় যাতে চাকরি প্রার্থীর কৃতকার্য বা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনার উপর একটি যথার্থ ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। যথাযথ আবেদন ফরম সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের উপযুক্ত কর্মী বাছাইয়ের পথ সহজ সুনিশ্চিত করে। যে সকল বিষয় শূন্য আবেদন পত্রে অন্তর্ভূক্ত হয় তা নিরূপঃ

১. ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Data) : প্রতিটি শূন্য আবদেনপত্র শুরু হয় প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে। যেমন- আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, টেলিফোন, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ধর্ম,জাতীয়তা প্রভৃতি। এছাড়া আবেদনপত্রে আরও থাকে স্বাস্থ্য সন্বন্ধে তথ্য, উচ্চতা, ওজন, প্রধান রোগ ও অসুস্থতা, বৈবাহিক সম্পর্ক, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সংখ্যা ইত্যাদি যা দ্বারা প্রার্থী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা পাওয়া যায়।

২. চাকরির পর্যায় (Employment Status) : আবেদনকারী প্রার্থিত পদ, কখন থেকে তাকে চাকরির জন্য পাওয়াযেতে পারে, প্রত্যাশিত বেতন, খণ্ডকালীন না পূর্ণ সময়ের (Full time) : জন্য চাকরি করতে আগ্রহী, প্রার্থিত পদ ছাড়া অন্য কোন পদে চাকরি করবে কি না প্রভৃতি বিষয় এ অংশে বিবৃত করা হয়। এ সকল তথ্যের মাধ্যমে সংগঠনের চাহিদা ও আবেদনকারীর উদ্দেশ্যের মধ্যে সমন্বয় হবে কি না তা জানা যায়।

৩. শিক্ষা ও দক্ষতা (Education and Skill): শূন্য আবেদনপত্রের এ অংশটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে চাকরি প্রার্থীর শিক্ষা ও দক্ষতা সঠিকভাবে উদঘাটন করা যায়। গতানুগতিকভাবে শিক্ষাই চাকরি প্রার্থীদের মূল্যায়নের জন্য মূল মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ শিক্ষা অবশ্যই চাকরি সম্পর্কিত হতে হবে। এছাড়া তার দক্ষতার তথ্যাদি চাকরি প্রার্থীতা ও উপযুক্ততা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।

৪. কার্য ইতিহাস (Work History) : এ অংশে চাকরি প্রার্থীরা তাদের অতীতের চাকরির বর্ণনা প্রদান করে। যেমন- চাকরির শিরোনাম, পদ ও কার্যের বর্ণনা, কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন প্রভৃতি। এ তথ্য হতে প্রার্থীর দক্ষতা ও সম্ভাব্যতা সহজেই যাচাই করা যয়।

৫. সদস্য পদ, সখ ও প্রাপ্ত পুরুস্কার (Membership, Hobbies and Award): ব্যবস্থাপনা ও উর্ধ্বতন পর্যায়ের জন্য চাকরি বহির্ভূত কর্মকান্ডগুলো একজন প্রার্থী থেকে অন্যজনকে অধিক গ্রহণযোগ্য করে তুলে। বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যপদ আবেদনকারীর কমিউনিটি ও পেশা সম্বন্ধে তার সচেতনতা প্রকাশ করে। পুরস্কার প্রাপ্তি সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ। সখ তার বিশেষ ঝোঁক ও পারদর্শিতা প্রকাশ করে। তাছাড়া সখ পীড়ন ও হতাশার নির্গমন পথ হিসেবে ও কাজ করে।

৬. রেফারেন্স (References): প্রার্থীর অতীত সম্বন্ধে তথ্য জানার জন্য চারটি উৎস ব্যবহার করা যায়ঃ (i) স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, (ii) প্রাক্তন নিযোগকর্তা, (iii) আবেদনকারী প্রদত্ত ব্যক্তি নির্দেশ, (iv) বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশী। রেফারেন্সের


অন্যতম উদ্দেশ্য হলো তার অতীত আচরণ ও প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা যাচাই করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পূর্বতন চাকরি স্থল তার ব্যক্তিত্ব আচরণ, নিষ্টা, চরিত্র, দায়িত্বজ্ঞান, কর্ম সম্পাদন ক্ষমতা প্রভৃতি বিষয়ে মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারে। এ থেকে প্রাপ্ত তথ্য তার আচরণ ও কর্ম সম্পাদন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করে। তবে ব্যক্তি নির্দেশ হতে প্রদত্ত তথ্যাদির উপর অনেক সময়ই নির্ভর করা যায় না। কেননা খুব কম ক্ষেত্রেই তারা প্রতিকূল তথ্যাদি প্রেরণ করে থাকে। আর বন্ধুবান্ধবের পর্যবেক্ষণ অনেক সময়ই ঠিক হয় না। কেননা তাদের একজন ভাল বন্ধু কার্য পরিবেশেও অনুরূপ হবে তা বলা যায় না।

দস্তখত রেখা (Signature Line) আবেদনপত্রে দস্তখতের স্থান নির্দিষ্ট থাকে। এ নির্দিষ্ট স্থানে আবেদনকারীকে তারিখসহ স্বাক্ষর প্রদান করতে হয়। স্বাক্ষর তার প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি প্রকাশ করে ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *