Home » » মাযহাব কি? মাযহাব কাকে বলে?

মাযহাব কি? মাযহাব কাকে বলে?

মাযহাব কি? মাযহাব কাকে বলে?

মাযহাব (১৯১০) আরবি শব্দ । আভিধনিক অর্থ হচ্ছে- পথ, মত, দল। ইসলামি আইন-কানুন, মু'আমালাত ও ইবাদাত সম্পর্কিত মৌলিক বিষয়সমূহ ব্যতীত সেগুলোর শাখা-প্রশাখায় ইসলামি আইন বিশারদগণের বিভিন্ন মতবাদকে মাযহাব বলে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা এবং হাদিসমূহের মধ্যে কোনটি অধিক প্রামাণ্য আর কোনটি কম নির্ভরযোগ্য এসব বিষয়ে ইমামদের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে মুসলিম সমাজে যে সকল ধর্মীয় আইন সংক্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে তাকে মাযহাব বলে ।

মুসলিম সমাজে অনেকগুলো মাযহাব বা মতবাদের উদ্ভব হয়। এসবের মধ্যে চারটি মাযহাব অন্যতম। এ চারটি মাযহাব সহীহ হওয়ার ব্যাপারে আলিমগণ একমত পোষণ করেছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আলিমগণ এ চারটি মাযহাবের যে কোন একটির অনুসরণ বা তাকলিদ করাকে অবশ্য করণীয় বলে ফাতওয়া প্রদান করেন ।

বিশ্বমুসলিম কর্তৃক সমাদৃত চারটি মাযহাব হচ্ছে-

(ক) হানাফি মাযহাব : ইমাম আবু হানিফা (র)-এর মতানুসারীকে হানাফি বলা হয়।

(খ) মালিকি মাযহাব : ইমাম মালিক (র)-এর মতানুসারীকে মালিকি বলা হয় । 

(গ) শাফি'ঈ মাযহাব : ইমাম শাফিঈ (র)-এর মতানুসারীকে শাফিঈ বলা হয় । 

(ঘ) হাম্বলী মাযহাব : ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র)-এর মতানুসারীকে হাম্বলি বলা হয়।


মাযহাবের পার্থক্যের কারণ

ইসলামি শরীআতের ফিহি মাযহাবের পার্থক্যের অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে যার কয়েকটি নিম্নরূপ-

প্রথমত: মহানবী (স)-এর হাদিস বিভিন্ন সাহাবী বর্ণনা করেন। অনেক বর্ণনাকারী তা অপরের নিকট বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনার ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। সুতরাং একই হাদিস বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ফলে বর্ণনার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা পার্থক্য দেখা দিয়েছে।

দ্বিতীয়ত: হাদিসের ব্যাখ্যার ব্যাপারেও মতপার্থক্য হয়েছে।

তৃতীয়তঃ কখনও বর্ণনার সূত্রেও কোন দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। যেমন বর্ণনাকারীদের মধ্যে কোন এক বা একাধিক ব্যক্তির বর্ণনা নির্ভরযোগ্য না হওয়া। সুতরাং এক ইমামের বিবেচনায় যে হাদিসটি গ্রহণযোগ্য, তা হয়ত অন্য ইমাম গ্রহণ করতে রাযি হননি। তিনি হয়ত অন্য হাদিসটি গ্রহণ করেছেন ।

চতুর্থত: বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত একই মর্মের হাদিসে একটি মর্মকে একজন ইমাম অধিকতর নির্ভরযোগ্য মনে করেছেন। অপর ইমাম অন্য মর্মকে নির্ভরযোগ্য মনে করে গ্রহণ করেছেন ।

পঞ্চমত : আল-কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যায় মতানৈক্য। এটিও মাযহাবের পার্থক্যের অন্যতম কারণ হতে পারে। একজন তাফসীরকার একটি আয়াতের এক ধরনের ব্যাখ্যা করেছেন। আর একজন অন্যরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। অবশ্য এসব শরীআতের কোন মৌলিক নির্দেশের (ফরযের) ব্যাপারে ফকিহদের মধ্যে পার্থক্য হয়নি; বরং মতপার্থক্য হয়েছে শাখা- প্ৰশাখায় ।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ফজরের সালাত পড়া ফরয। এ ব্যাপারে সকল ইমাম একমত। মতানৈক্য রয়েছে আদায়ের সময়ের ব্যাপারে। একজন ইমাম ফজরের সালাত আলো-আঁধারে পড়া ভালো মনে করেন। অন্যজন ফরসা বা আরো আলো হবার পর পড়া ভালো মনে করেন। এ ব্যাপারে দুই ইমাম দুই হাদিস দ্বারা নিজেদের মতামত প্রমাণ করেছেন । অনুরূপভাবে ইমামের পেছনে কিরাত পাঠ করতে হবে, না চুপ করে থাকতে হবে, এ ব্যাপারেও দুটি মত রয়েছে। প্রত্যেকেরই যুক্তির ভিত্তিতে হাদিস রয়েছে। এমন সব প্রাসংগিক বিষয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। 

ষষ্ঠত: যে সকল সমস্যার সমাধান কুরআন ও হাদিসে পাওয়া যায় না এক্ষেত্রে ইজমা ও কিয়াসের সাহায্যে হুকুম প্রদানের ক্ষেত্রে এ মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। ফয়সালা যেমন দুইজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ মৌলিক আইনের ব্যাখ্যায় একমত হওয়া সত্ত্বেও এর ধারা-উপধারায় ভিন্ন ভিন্ন রায় প্রকাশ করে থাকেন। আর মুজতাহিদদের ভিন্ন মত পোষণ করা কোন দূষণীয় নয়। মহানবী (স) বলেছেন, “যারা এ জাতীয় গবেষণায় আত্মনিয়োগ করবে, তারা নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছলে দুটি পুরস্কার পাবে, আর ভুল হলেও শ্রমের মর্যাদাস্বরূপ একটি পুরস্কার পাবে।”

সপ্তমত: বিতর্কমূলক প্রশ্নে আইনজ্ঞের পরামর্শ ও বিচারকের মীমাংসা। যেমন, ইসলামি আইনের ব্যাপারে ফকিহদের ফাতওয়াও সেইরূপ। বিভিন্ন বিচারক ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন। যেসব ব্যাপারে কুরআন ও সুন্নাহতে ফয়সালা পাওয়া যায় না, সেসব ব্যাপারে ফকিহদের ইজতিহাদ ও রায়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর ঐ সব ইজতিহাদ ও রায়ের ব্যাপারে সব সময়ে মতৈক্যের আশা করা যায় না।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *