বর্ণ কাকে বলে
ধ্বনির লিখিত রূপ বা নির্দেশক চিহ্নকে বর্ণ (Letter) বলে।
স্বরবর্ণ : স্বরধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন- অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি।
ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন- ক, চ, ট ইত্যাদি।
বর্ণমালা : যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমষ্টিকে সেই ভাষার বর্ণমালা (Alphabet) বলা হয়। যে বর্ণমালায় বাংলা ভাষা লিখিত হয়, তাকে বলা হয় বঙ্গলিপি।
স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ
কার ও ফলা
কার : স্বরবর্ণের এবং কতকগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রূপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না, তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্ণরূপ। যেমন- অ, আ, ই, ঈ ইত্যাদি। এই রূপ শব্দের আদি, মধ্য, অমত্ম যে কোনো অবস্থানে বসতে পারে।
স্বরধ্বনি যখন যুক্তধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়, তখন সে স্বরধ্বনির বর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। স্বরবর্ণের এ সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় সংক্ষিপ্ত স্বর বা কার। যেমন- ‘আ’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ (া)। স্বরবর্ণের নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়।
ফলা : স্বরবর্ণ যেমন ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয়, তেমনি কোনো কোনো ব্যঞ্জনবর্ণও কোনো কোনো স্বর কিংবা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয় এবং কখনো কখনো সংক্ষিপ্তও হয়। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে যেমন কার বলা হয় তেমনি ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্তরূপকে ফলা বলা হয়। যেমন- ম-এ র-ফলা = ম্র, ম-এ ল-ফলা = ম্ল, ইত্যাদি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Comment below if you have any questions