Home » » বিমা কি

বিমা কি

বিমা কি

ব্যাংক অর্থের ব্যবসা করে। পক্ষান্তরে, বিমা ঝুঁকির ব্যবসা করে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তাকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে এক কার্যকরী হাতিয়ার হিসেবে বিমাকে বিবেচনা করা হয়। এবার আসুন, বিমা বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের সংজ্ঞা জেনে নিই।

অধ্যাপক I.M. Taylor- এর মতে, ‘‘বিমা চুক্তি হলো প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রতিদানে এক-পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষের সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি গ্রহণের সম্মতি।’’

অধ্যাপক মার্ক গ্রীনির মতে, ‘‘বিমা হলো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়কে সার্বিক ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে।’’

উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিমা হলো দুটি পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি যার এক পক্ষ তার সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করার জন্য অন্য পক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে এবং অপর পক্ষ উক্ত অর্থের বিনিময়ে ঝুঁকি গ্রহণ করে। তবে একথা স্পষ্ট যে, বিমা মানেই অন্যের ঝুঁকি নিজের ঘাড়ে নেওয়া। ঝুঁকির ভার গ্রহণ করাই হলো বিমা ব্যবসার মূল বিষয়।

বিমার গুরুত্ব

বিমার মাধ্যমে মানুষ ব্যক্তিক ও ব্যবসায়িক ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। অন্যের ঝুঁকি নিজের ঘাড়ে নিয়ে বিমা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ব্যবসায়ের নানা লেনদেনের সাথে বিমা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এবার আসুন, এর গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

(ক) ব্যক্তি পর্যায়ে বিমার ভূমিকাঃ পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু বা যেকোন দুর্ঘটনার কারণে একটি পরিবার আর্থিক সংকটে পড়ে। বিমা ব্যবস্থা এরূপ ক্ষেত্রে মানুষকে আর্থিক সংকট থেকে মুক্ত করতে পারে। জীবন-বিমা, দুর্ঘটনা-বিমা ও স্বাস্থ্য-বিমা ইত্যাদি ব্যক্তি বিমার আওতাভুক্ত। বিমার মাধ্যমে বিমাগ্রহণকারীর অকাল বা পরিণত মৃত্যুতে তার উত্তরাধীকারী আর্থিক সুবিধা পায়। অগ্নি-বিমা, নৌ-বিমা, দুর্ঘটনা বিমা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও দুর্ঘটনাজনিত কারণে বিমা গ্রহীতা আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায়।

(খ) ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিমার গুরুত্বঃ ব্যবসায়ে ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। পণ্যের বাজারদর কমে যাওয়া, পণ্য উৎপাদন বা সরবরাহের সময় দুর্ঘটনা ঘটা, গুদামে আগুন লাগা ইত্যাদি কারণে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। বিমার মাধ্যমে ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তা হ্রাস করা যায়। ব্যবসায়ে বিমার প্রচলন সবচেয়ে বেশি। ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা দূর করার মাধ্যমে বিমা ব্যবসাবাণিজ্যে গতিশীলতা বজায় রাখে। নৌ-বিমা, অগ্নি-বিমা, দুর্ঘটনা-বিমা, রপ্তানি-বিমা ইত্যাদি ব্যবসায়ের গতি সচল রাখে।

(গ) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিমার গুরুত্বঃ বিমা কোম্পানি সঞ্চিত প্রিমিয়াম লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে। বিমা কোম্পানি ব্যক্তি ও সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকি বহন করে। ফলে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহনসহ সকল খাত বিমার আওতায় আসার কারণে ঝুঁকিমুক্ত একটি পরিবেশ বিরাজ করে।

(ঘ) সামাজিক ক্ষেত্রে বিমার ভূমিকাঃ বিমা কোম্পানি জীবন বিমা, সাধারণ বিমা ও অগ্নি বিমার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে। বিমা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করে তোলে। বিমা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনার ক্ষেত্রে অবদান রাখে। অতিরিক্ত বিনিয়োগের কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং দেশের বেকারত্ব  হ্রাস পায়।

বিমার অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলো। এবার আসুন বিমার সংক্ষেপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিই। বিমা ব্যবসায়ের ইতিহাস ও বাংলাদেশে বিমার বর্তমান অবস্থা

বিমার উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয় যে, ভূমধ্যসাগরের উত্তর অঞ্চলে, বিশেষতঃ ইতালির জেনোয়া বন্দরকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় কয়েকটি দেশে ৪র্থ শতাব্দীতে বিমা ব্যবসায়ের প্রচলন শুরু হয়েছিল। পরে ইউরোপে শিল্প বিপস্নবের ফলে ব্যবসায়ের পাশাপাশি বিমারও সম্প্রসারণ ঘটে। এ সময়ে ইউরোপের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ঝুঁুকি মোকাবেলার জন্য বিমাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল। এ সময় বিমা সমবায়ের মাধ্যমে পরিচালিত হত। বিমা কোম্পানিগুলোর উদ্ভব তখনো হয়নি।

বিমার ইতিহাস থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে যে বিমাটি সর্ব প্রথম শুরু হয় তা ছিল নৌবিমা (Marine Insurance)। ১৬৬৬ সালে লন্ডন এবং ১৮৬১ সালে টালি এস্টেটের অগ্নিকান্ডর ফলে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে অগ্নিবিমা (Fire Insurance) শুরু হয় ১৮৬৫ সালে। এরপর ১৮৯৬ সালে "Hand in Hand" নামক জীবন বিমার (Life Insurance) উদ্ভব ঘটে। এটিও শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ড। ইউরোপিয়রা উপনিবেশ (কলোনি) স্থাপনের মাধ্যমে সাম্রাজ্য বাড়াতে থাকে। এর ফলে বিমা ব্যবস্থা সারা বিশেব ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতীয় উপমহাদেশে বিমা ব্যবসায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। এ উপমহাদেশে ১৮১৮ সালে ইউরোপিয়রা কোলকাতায় The Oriental Life Insurance Company নামে একটি জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিমা ব্যবসা শুরু করে। পরে ১৯২৮ সালে The Indian Insurance Company Act নামে একটি বিমা আইন পাশ করা হয়। এ আইনটি ১৯৩৮ সালে সংশোধিত, পরিমার্জিত ও সংযোজিত হয়ে ঘোষিত হয়।

আপনারা জানেন যে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ নামক দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ভারত বিভাগের পর ১৯৫৪ ও ১৯৫৮ সালে বিমা আইনে কিছু পরিবর্তন করা হয়। ১৯৫৭ সালে ভারতে বিমা ব্যবসা জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানে বিমা ব্যবসায় ব্যক্তি মালিকানাধীনেই থেকে যায়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ Bangladesh Insurance (Emergency Provision) Order, ১৯৭২ জারি করা হয়। এতে ১৯৩৮ সালের বিমা আইনটি বাংলাদেশের বিমা আইন বলে বিবেচিত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয় এবং ৭৫টি বিমা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে প্রথমে ৫টি সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সংস্থাগুলো হলোঃ ১. বাংলাদেশ জাতীয় বিমা কর্পোরেশন, ২. কর্ণফুলী বিমা কর্পোরেশন, ৩. তিস্তা বিমা কর্পোরেশন, ৪. সুরমা জীবন বিমা কর্পোরেশন এবং ৫. রূপসা জীবন বিমা কর্পোরেশন। এরপর আরো পরিবর্তন আনা হয়। ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বিমা কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (Insurance Corporation Ordinance, 1973) ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৫টি বিমা সংস্থাকে ২টি সংস্থার অধীনে আনা হয়। এ দুটি সংস্থা হলোঃ ১. জীবন বিমা কর্পোরেশন ও ২. সাধারণ বিমা কর্পোরেশন। ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা কর্পোরেশনের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে বিমা ব্যবসার অনুমতি দেয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর বেসরকারী বিমা কোম্পানি চালু আছে। ইতোমধ্যে দেশে বিমা ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আপনিও পেশা হিসেবে বিমা খাতকে পছন্দ করতে পারেন।

বিমা ব্যবসায়ের নীতিসমূহ

বিমা ব্যবসা কতিপয় নীতিমালার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। এগুলোকে বিমার মৌলিক নীতিমালা বলে। এসব নীতির বাইরে গিয়ে বিমা ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। তাহলে আসুন, আমরা বিমার নীতিমালাগুলো জেনে নিই।

১. বিমাযোগ্য স্বার্থের নীতিঃ সাধারণভাবে, বিমাযোগ্য স্বার্থ হলো বিমার বিষয়বস্তুতর সাথে জড়িত বিমাগ্রহীতার আর্থিক স্বার্থ। অর্থাৎ বিমার বিষয়বস্তু নিরাপদে থাকলে বিমাগ্রহীতা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। আর বিষয়বস্তুত ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমাগ্রহীতা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বাস্তবে অস্তিত্ব না থাকলে সে বিষয়ের উপর বিমাযোগ্য স্বার্থ থাকে না ও তার উপর বিমাও করা যায় না। তবে বিমার বিষয়বস্তুতটি বৈধ হতে হবে। যেমন, অন্যের সম্পত্তির উপর কোন ব্যক্তির বিমাযোগ্য স্বার্থ থাকে না। ফলে সে এরূপ সম্পত্তির উপর বিমা করতে পারবে না।

২. চূড়ান্ত বিশ্বাসের নীতিঃ এ নীতি অনুযায়ী বিমাকারী এবং বিমাগ্রহীতা সরল বিশ্বাসে বিমা সংক্রান্ত সকল বিষয় একে অপরের কাছে অকপটে উপস্থাপন করবে। কোনো অবস্থাতেই গুরুত্বপুর্ণ কোন তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা যাবে না। তথ্য গোপন করলে বিমা চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং বিমাচুক্তিতে সব প্রয়োজনীয় বিষয় প্রকাশ করতে হবে। ৩. ক্ষতিপূরণের নীতিঃ এ নীতি অনুসারে বিষয়বস্তুর ক্ষতি হলে বিমা কোম্পানি বিমাগ্রহীতাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিবে। যতটুকু ক্ষতির জন্য বিমা করা হবে, ঠিক ততটুকুই ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হবে। বিষয়বস্তুতর ক্ষতির পরিমাণ বিমামূল্যের বেশি হলে বিমা কোম্পানি বিমামূল্যের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিবে। আর কম হলে, প্রকৃত ক্ষতির সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিবে।

৪. প্রতিস্থাপনের নীতিঃ বিমা ব্যবসার নিজস্ব একটি আইন রয়েছে। বিমার মূল উদ্দেশ্য হলো, কোন বিমা গ্রহীতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে ক্ষতি পুষিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। অর্থাৎ বিমার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় না। আইনগতভাবে তাই কোন ক্ষতি হওয়ার পর তা পূরণ করার পর অন্য কোন উৎস থেকে বিমা গ্রহীতা আর কোন অর্থ পাবে না। যেমন, একজন বিমাগ্রহীতার বিমাকৃত গাড়ীটি দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি তাকে একটি নতুন গাড়ী দিল। কিন্তু ধ্বংসকৃত গাড়ীটি বিক্রয় করে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা বিমাকারী প্রতিষ্ঠান পাবে; বিমা গ্রহীতা পাবে না।

৫. নিকটতম কারণ নীতিঃ ক্ষতির নানা কারণ থাকতে পারে। এ নীতি অনুযায়ী বিমা দাবী পূরণের সময় নিকটতম কারণটি বিবেচনা করা হবে, দূরের কারণটি নয়। কোন ক্ষতির সাথে একাধিক কারণ জড়িত থাকলে যে কারণটি নিকটতম সেটাকেই ক্ষতির কারণ বলে বিবেচনা করা হয়। তবে সেটা বিমাকৃত হতে হবে। ধরুন, একটি জাহাজের সামুদ্রিক বিমা করা আছে। জাহাজটি যান্ত্রিক কারণে ডুবে গেল। এ জন্য বিমাকারি কোন ক্ষতিপূরণ পাবে না। কারণ যান্ত্রিক কারণটি বিমা করা নেই।

৬. অবদানের নীতিঃ বিমার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের নীতিকে কার্যকর করার জন্য অবদানের নীতি প্রয়োগ করা হয়। বিষয়বস্তুর উপর একাধিক বিমা করা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন ক্ষতি হলে সে ক্ষতিপূরণ সকলে আনুপাতিক হারে দিবে। ধরুন, মিঃ জামান তার একটি বাড়ি অগ্নিবিমার জন্য ৫,০০,০০০.০০ করে তিনটি বিমা কোম্পানির নিকট বিমা করল। অগ্নিকা--র ফলে ১,০০,০০০ টাকার ক্ষতি হলো। সেক্ষেত্রে সকলে মিলে আনুপাতিক হারে ১,০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবে। তবে এটি জীবন বিমা ও ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

0মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

Basic Computer Course

MS Word
MS Excel
MS PowerPoint
Bangla Typing, English Typing
Email and Internet

Duration: 2 months (4 days a week)
Sun+Mon+Tue+Wed

Course Fee: 4,500/-

Graphic Design Course

Adobe Photoshop
Adobe Illustrator

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 9,000/-

Web Design Course

HTML 5
CSS 3

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 8,500/-

Video Editing Course

Adobe Premiere Pro

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 12,000/-

Digital Marketing Course

Facebook, YouTube, Instagram, SEO, Google Ads, Email Marketing

Duration: 3 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 15,000/-

Advanced Excel

VLOOKUP, HLOOKUP, Advanced Functions and many more...

Duration: 2 months (2 days a week)
Fri+Sat

Course Fee: 6,500/-

Class Time

Morning to Noon

1st Batch: 08:00-09:30 AM

2nd Batch: 09:30-11:00 AM

3rd Batch: 11:00-12:30 PM

4th Batch: 12:30-02:00 PM

Afternoon to Night

5th Batch: 04:00-05:30 PM

6th Batch: 05:30-07:00 PM

7th Batch: 07:00-08:30 PM

8th Batch: 08:30-10:00 PM

Contact:

Alamin Computer Training Center

796, West Kazipara Bus Stand,

West side of Metro Rail Pillar No. 288

Kazipara, Mirpur, Dhaka-1216

Mobile: 01785 474 006

Email: alamincomputer1216@gmail.com

Facebook: www.facebook.com/ac01785474006

Blog: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল*

বার্তা*

-->