Home » » দূর্নীতি কি

দূর্নীতি কি

দূর্নীতি কি

এ সম্পদ আহরণ ও ভােগের প্রবৃত্তি থেকেই জন্ম নেয় দুর্নীতির। মানুষের অনিবার্য মৌলিক চাহিদা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা, লোভ, উচ্চাশা থেকে দুর্নীতির উদ্ভব। এটি একটি মানসিক প্রবৃত্তি। দুর্নীতি সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধ। দুর্নীতি দারিদ্র্য ও বৈষম্য বাড়ায় এবং সমাজের ন্যায়নীতিকে বিপন্ন করে তোলে। আমাদের অর্থনীতি, রাজনীতি, শাসন ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, জনগণের জন্য রাষ্ট্রীয় সেবা, মানবাধিকার সর্বত্র দুর্নীতির কালো থাবা। সমাজ ও সংস্কৃতিতে দুর্নীতি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বার বার বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এখনই রুখে না দাড়ালে দুর্নীতি আরাে ভয়াবহ রূপ লাভ করবে। 

দুর্নীতির সংজ্ঞা (Definition of corruption) 

সাধারণ অর্থে দুর্নীতি হচ্ছে সততা ও নীতি-নৈতিকতা (Morality) পরিপন্থী কাজ। ব্যাক্তিগত স্বার্থে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে দুর্নীতি (Abuse of entrusted power for personal gain)। দুর্নীতি প্রায়শ ক্ষমতার সাথে যুক্ত। যে দুর্নীতি করে সে কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতার অধিকারী। তবে সব ক্ষমতাধর ব্যক্তিই দুর্নীতিবাজ নন। ঘুষ লেনদেন, সম্পদ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজী, প্রতারণা, দায়িত্বে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি দুর্নীতি বলে পরিগণিত। 

বস্তুত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি তার বা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করেন তবে তা হবে দুর্নীতি। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যা করার কথা তা না করা কিংবা যা করার কথা নয় তা করাকে দুর্নীতি বলে। বিশ্বের সর্বত্রই কম-বেশি দুর্নীতি ছিলো, আছে এবং হয়ত আগামীতেও থাকবে।


দুর্নীতির ধরন (Types of corruption) 

দুর্নীতি প্রধানত দু'প্রকার। যথা: 

ক) ক্ষুদ্রকার দুর্নীতি (Petty corruption) এবং 

খ) বৃহদাকার দুর্নীতি (Grand corruption) 


ক্ষুদ্রকার দুর্নীতি হচ্ছে ছোট পরিসরে, স্বল্পমাত্রার দুর্নীতি। সাধারণত দৈনন্দিন প্রয়োজনে স্বল্পমাত্রার ক্ষমতাধারীরা এ ধরনের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকে। ক্ষুদ্রাকার দুর্নীতিতে টাকার অঙ্ক যেমন কম থাকে তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও খুব বেশি নয়। পঞ্চাশ/একশ থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন বা অর্থ আত্মসাৎ, পরিবার, আত্মীয়-বন্ধুকে ছোট-খাটো চাকরি বা সুবিধা প্রদান, দায়িত্বে অবহেলা, অফিস ফাঁকি ইত্যাদি ক্ষুদ্রাকার দুর্নীতির উদাহরণ। 

বৃহদাকার দুর্নীতি হচ্ছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ বা নীতিনির্ধারকদের বড় আকারের দুর্নীতি। এ ধরনের দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর ক্ষতিকর প্রভাবও অনেক বেশি। সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদ, জায়ান্ট ব্যবসায়ী প্রমুখ বৃহদাকার দুর্নীতির সাথে যুক্ত। সাধারণত কোনো কোম্পানীকে কাজের অনুমতি বা ছাড়পত্র, টেন্ডার, সরকারি কেনাকাটা, সরকারি সম্পদ ইজারা প্রদান, নির্বাচন, ক্ষমতার পালাবদলে কারসাজি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বৃহদাকার দুর্নীতি সংঘটিত হয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Comment below if you have any questions

অফিস/বেসিক কম্পিউটার কোর্স

এম.এস. ওয়ার্ড
এম.এস. এক্সেল
এম.এস. পাওয়ার পয়েন্ট
বাংলা টাইপিং, ইংরেজি টাইপিং
ই-মেইল ও ইন্টারনেট

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ৪দিন)
রবি+সোম+মঙ্গল+বুধবার

কোর্স ফি: ৪,০০০/-

গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স

এডোব ফটোশপ
এডোব ইলাস্ট্রেটর

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ওয়েব ডিজাইন কোর্স

এইচটিএমএল ৫
সিএসএস ৩

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৮,৫০০/-

ভিডিও এডিটিং কোর্স

এডোব প্রিমিয়ার প্রো

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৯,৫০০/-

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, এসইও, গুগল এডস, ইমেইল মার্কেটিং

মেয়াদ: ৩ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ১২,৫০০/-

অ্যাডভান্সড এক্সেল

ভি-লুকআপ, এইচ-লুকআপ, অ্যাডভান্সড ফাংশনসহ অনেক কিছু...

মেয়াদ: ২ মাস (সপ্তাহে ২দিন)
শুক্র+শনিবার

কোর্স ফি: ৬,৫০০/-

ক্লাস টাইম

সকাল থেকে দুপুর

১ম ব্যাচ: সকাল ০৮:০০-০৯:৩০

২য় ব্যাচ: সকাল ০৯:৩০-১১:০০

৩য় ব্যাচ: সকাল ১১:০০-১২:৩০

৪র্থ ব্যাচ: দুপুর ১২:৩০-০২:০০

বিকাল থেকে রাত

৫ম ব্যাচ: বিকাল ০৪:০০-০৫:৩০

৬ষ্ঠ ব্যাচ: বিকাল ০৫:৩০-০৭:০০

৭ম ব্যাচ: সন্ধ্যা ০৭:০০-০৮:৩০

৮ম ব্যাচ: রাত ০৮:৩০-১০:০০

যোগাযোগ:

আলআমিন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

৭৯৬, পশ্চিম কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড,

[মেট্রোরেলের ২৮৮ নং পিলারের পশ্চিম পাশে]

কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

মোবাইল: 01785 474 006

ইমেইল: alamincomputer1216@gmail.com

ফেসবুক: facebook.com/ac01785474006

ব্লগ: alamincomputertc.blogspot.com

Contact form

নাম

ইমেল *

বার্তা *